দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে অফিস বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে গর্জিয়াস চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার ও রঙ-বেরঙের চা-কফির মগের সমাহার। অফিসে চা-কফি খাওয়ানো হয়। কিন্তু সেটি যে চাকরি ছাড়ার পর কাল হবে তা কী কখনও ভাবা যায়!
প্রতীকি ছবি
প্রায় প্রতিটি অফিসেই ফ্রি চা-কফি খাওয়ার সুযোগ থাকেই। এই যুগে এই ব্যবস্থা না থাকলে কর্মীদের চাঙ্গা করাও যায় না। তবে চীনের আনহুই প্রদেশে ঘটেছে এক বিরলতম ঘটনা। চাকরি ছাড়ার পর এক কর্মীকে অফিসে যতো কাপ কফি খেয়েছেন, তার বিল পরিশোধ করতে হলো!
চীনের একটি প্রতিষ্ঠানে দুই কর্মী চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়া খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তবে চাকরি ছাড়ার পর পরের ধাপে যা ঘটলো, সেটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। অনেক অফিসই তার কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে চা-কফির ব্যবস্থা রাখেন। এই অফিসেও ঠিক তা ছিল। এবার যে দুই কর্মী কাজ ছাড়লেন, বস তাদের কাছ থেকে অফিসে থাকার সময় তারা যতো কাপ চা খেয়েছেন সব মিলিয়ে হিসেবে করে তার দাম চেয়ে বসলেন!
এই আজব বিষয়টা কিন্তু শুধু মৌখিক স্তরেই সীমিত ছিল না। ওই টাকা আদায়ের জন্য রীতিমতো আইনি চিঠিও ধরিয়ে দেন সেই অফিসের মালিক। সেই চিঠি পেয়ে কর্মীরা তো অবাক বলে যান! সব থেকে বড় কথা হলো, টাকার অঙ্কটাও নেহাত কম ধরা হয়নি। চীনে মদ খাওয়ার প্রবণতা কমাতে হালে জনপ্রিয় হয় দুধ-কফি, তার দাম হতে পারে ৯০ থেকে ২৮৮ ইউয়ান পর্যন্ত।
তবে ওই মামলা লড়ে সময় নষ্ট করতে হয়নি কর্তৃপক্ষকে। অবশেষে কর্মীরা কর গুণে ১৭ হাজার ইউয়ান অফিসের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছেন, যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়াচ্ছে আড়াই লাখের উপরে! তবে ওই ঘটনাটি তারা ছেড়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে কারণে বসের নিন্দায় পঞ্চমুখ হয়েছে পুরো নেটদুনিয়া।
এতো সমালোচনার পর ওই অফিসের বস কী বলছেন? বস ভদ্রলোক দোষ চাপিয়েছেন তার প্রেমিকার ঘাড়ে। ওই নারীর জেদেই নাকি আইনি নোটিসটি পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই অফিসের বস!
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org