দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দশকের পর দশক ধরে কারাকুম মরুভূমির একটি গর্তে জ্বলছে এক আগুন।তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরের এটি একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র। এটিকে বলা হয় ‘নরকের দরজা’। এবার বন্ধ হচ্ছে সেই নরকের দরজা!
দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলেই এটিকে ‘নরকের দরজা’ বলা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট এবার এই ‘নরকের দরজা’ বলে পরিচিত তুর্কমেনিস্তানের মরু গর্তের আগুন নিভিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ এটি বন্ধ করতে চাইছেন। এছাড়াও, গ্যাস রপ্তানির উদ্যোগ বাড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ ক্রমেই হারিয়ে ফেলছি। যা দিয়ে আমরা অনেক মুনাফা অর্জন করতাম। সেগুলো আমাদের জনগণের কল্যাণেও ব্যয় করা যেতো।
জানা গেছে, মিথেন গ্যাসের বিস্তার প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে ভূতত্ত্ববিদগণ জ্বলা মুখটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ওই ঘটনার পর হতেই সেটি ক্রমাগতভাবে জ্বলছে। কারাকুম মরুভূমির এই অগ্নিমুখটির ব্যাস হলো ৬৯ মিটার কিংবা ২২৬ ফুট এবং এর গর্ত ৩০ মিটার কিংবা ৯৮ ফুট দীর্ঘ।
খবরে বলা হয়, প্রতিবছরই দরওয়াজা শহরে ভিড় করেন পর্যটকরা এই অগ্নিমুখটি দেখার জন্য। ২০০৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত অর্ধ লাখেরও বেশি পর্যটক স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তবে তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কারণে বর্তমানে এটি বন্ধ করতে চাইছেন। একই সঙ্গে গ্যাস রপ্তানির বিষয়টিও এই উদ্যোগের পেছনে কাজ করছে বলে মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও তুর্কমেনিস্তান সরকার বেশ কয়েকবার এই গর্তের আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট বেরদিমুখামেদভ ২০১০ সালেও আগুন নেভানোর উপায় বের করতে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই অগ্নিগুহাটির নামকরণ করেন ‘শাইনিং অব কারাকুম’।
বিশ্বজুড়ে এই গুহা নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। নরকের দরজা খ্যাত এই গর্তের সৃষ্টি নিয়ে রয়েছে নানা রকম রহস্য। কেও কেও মনে করেন যে, ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের খননের সময় এটি সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে কানাডার অনুসন্ধানকারী জর্জ কৌরোনিস ২০১৩ সালে গর্তের গভীরতা পরীক্ষা করে বলেন যে, কীভাবে এই গর্তটি সৃষ্টি হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি কেওই জানে না। যদিও স্থানীয় ভূতত্ত্ববিদরা মনে করেন যে, বড় আকারের এই গর্তটি তৈরি হয়েছিলো ১৯৬০ এর দশকে। তবে এতে আগুন জ্বলতে শুরু করে ১৯৮০ এর দশক হতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।