দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষ করে শীতকালে প্রত্যেক মেয়েরই সাজের টেবিলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বডি লোশন। তবে এই বডি লোশন কেনো ব্যবহার করবেন সেটি জেনে নিন।
গোসলের পর বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে অনেকেই এই সময গায়ে-হাত-পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। তবে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখা ছাড়াও এই সাধারণ বডি লোশনই আরও নানাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলো কী আপনার জানা আছে? শীতকালীন রূপ-রুটিনে কীভাবে ব্যবহার করবেন এই ময়শ্চারাইজার বা বডি লোশন সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে: বাজার থেকে কেনা স্ক্রাব শেষ হয়ে গেছে? নতুন স্ক্রাব হাতে পাওয়ার আগে বাড়িতেই তৈরি করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। পদ্ধতিও খুব সহজ। লোশনের মধ্যে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি দিয়ে তৈরি স্ক্রাব ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করে মৃত কোষ সরিয়ে দিতে পারে নিমেষেই।
হাতে পায়ের লোম তুলতে: সাধারণত ওয়্যাক্স বা শেভ করার পর আমরা হাত পায়ে লোশন লাগাই। যাতে ত্বক রুক্ষ না হয়। তবে আপনি জানেন কি, এই লোশন দিয়েই হাত পায়ের অবাঞ্ছিত লোম অনায়াশে তুলে ফেলতে পারবেন? হয়তো বিষয়টি শুনে আপনি অবাক হচ্ছেন। তাহলে একবার ভেবে দেখুন, ছেলেদের শেভিং ক্রিমগুলি আদতে কী? এক ধরনের ক্রিম যা ত্বক আরও মসৃণ করে রেজার চালাতে সাহায্য করে থাকে। হাত-পায়ের লোম তোলার ক্ষেত্রেও লোশন সেই একই কাজ দিব্যি করে ফেলে।
রূপ-রুটিন আরও কার্যকর করে তুলতে: এই শীতে ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ ও ঠাণ্ডা হয়ে থাকলে কোনও ক্রিম কিংবা সিরাম তেমন কাজই করে না। যদি একটি নরম তোয়ালে একটু গরম পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে নেন, তাহলে দেখবেন ত্বক নরম হবে। এরপর যদি সারা গায়ে লোশন লাগান তাহলে খুব সহজেই ত্বক আর্দ্র হয়ে উঠবে। এরপর যেমনভাবে ইচ্ছে রূপচর্চা করতে পারেন। ত্বক সহজেই সব শুষেও নিতে পারবে।
শরীরচর্চার রক্ষাকবচ: শরীরচর্চা করার সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেকটা পানি বেরিয়ে যায়। এতে ত্বক হয়ে ওঠে আরও রুক্ষ। যদি শরীরচর্চা করার আগে বডি লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে এই সমস্যা কমে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।