দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই ভাবলে আশ্চর্যই লাগে! মাথা থেকে কাটানো চুলের অংশ আমাদের কাছে ফেলনা বস্তু ছাড়া কিছুই নয়। অথচ সেই চুল থেকে এতো টাকা আসতে পারে তা কি আমরা কেও ভাবতে পারি? তবে এবার তাই ঘটেছে।
আপনি নিজেও শুনলে অবাক হবেন, ভারতের একটি মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই চুল বিক্রি করেই প্রতি বছর শতকোটি টাকা আয় করে থাকেন। দেশটির অল্প্রব্দপ্রদেশের তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে প্রতিদিন অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটে থাকে। পুণ্য লাভের আশায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেখানেই তারা চুল কাটিয়ে নেন। সেই চুল জমিয়ে রেখে বছর শেষে সেগুলো নিলামে তোলা হয়।
জানা যায়, ওইসব চুল বিক্রি থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্দির কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছিলো ২৩২ কোটি টাকা। এই খাত থেকে প্রতি বছর তাদের আয় বাড়ছেই। আগের পাঁচ অর্থবছরে চুল বিক্রি করে তারা আয় করেছে যথাক্রমে ১১১, ১১১, ১৮৯, ২৩৮ এবং ২৭৭ কোটি টাকা!
এই মন্দিরটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে তিরুমালা তিরুপাঠী দেবস্থানম ট্রাস্ট। বিশ্বে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ও তাদের পরিচালিত মন্দিরেই সর্বাধিক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে থাকে। ধর্মীয় ছাড়াও এই মন্দিরটি নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
জানা যায় যে, পূর্ণাঙ্গ সরকারের মতোই এখানে সব ধরনের বিভাগও রয়েছে। মন্দিরের পাশাপাশি তাদের পরিচালনায় রয়েছে হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাস সার্ভিস, প্রকৌশল, উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ইত্যাদি। এই ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়ে মোট কর্মীর সংখ্যা হলো ১৬ হাজার। তবে মন্দিরের বার্ষিক আয়ের দশ ভাগের এক ভাগই এসে থাকে ভক্তদের দান করা ওইসব চুল থেকে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত মন্দিরটিতে দৈনিক প্রায় ৭৫ হাজার ভক্তের আগমণ ঘটে থাকে। বিষ্ণুর অবতার দেবতা বেঙ্কটেসশ্বরের কাছে মানত নিয়ে আসেন ওইসব ভক্তরা। তবে ভক্তদের এই শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসকে পুঁজি করে চলছে নকল চুলের কয়েকশ কোটি টাকার বাণিজ্য। হলিউডের নামিদামি তারকারাও এখানকার চুলের নিয়মিত গ্রাহক। বস্তুবাদী দুনিয়ার চাকচিক্য, ফ্যাশন ও ট্রেন্ডের যোগান দিয়ে চলেছে আধ্যাত্মিক প্রশান্তির আশায় অর্পিত পুণ্যার্থীদের ওইসব চুল!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।