দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগামীকাল (২ ফেব্রুয়ারি) ইকম গ্লোবালের আয়োজনে, বিজনেস গ্লোবালাইজারের সহযোগিতায় ঢাকাস্থ সিক্স সিজন হোটেলে “ইন্টু ক্রস-বর্ডার ই-কম ইউনিভার্স” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমান বিশ্ব যেনো এক ই-কমার্স হাওয়ায় দুলছে। সে বৈশ্বিক হাওয়ায় পাল তুলে সফলভাবে নোঙর করেছেন অনেক বাংলাদেশী। ২০২০ অর্থবছরে বৈশ্বিক ই-কমার্স মার্কেট সাইজ ভ্যালু ছিলো ১০.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এই মার্কেটের বর্তমান গ্রোথ রেইট ১৪.৭%।
তথাপি বৈশ্বিক ই-কমার্সে বাংলাদেশীদের সুযোগ দিন দিন বেড়ে চললেও সে মাত্রায় আমরা অবদান রাখতে পারছি না সঠিক জ্ঞান এবং কর্ম পদ্ধতির অভাবে। আমাজন, ওয়ালমার্ট, ইবে, ফেইসবুক, মার্কারির মতো বৃহৎ গ্লোবাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক বিপণনের স্বার্থে সারা বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য নিজেদের পণ্য বৈশ্বিক বাজারে উন্মুক্ত করার দারুণ সুযোগ চলমান রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশের ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাগুলো উল্লেখযোগ্য হারে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়িয়ে বৈশ্বিক ই-কমার্সের বড় একটি জায়গা দখল করে রাখলেও বাংলাদেশ থেকে তেমনভাবে বৈশ্বিক ই-কমার্স উদ্যোক্তা উঠে আসছে না।
সেই সংকট কাটাতে ইকম গ্লোবালের আয়োজনে, বিজনেস গ্লোবালাইজারের সহযোগিতায় ঢাকাস্থ সিক্স সিজন হোটেলে “ইন্টু ক্রস-বর্ডার ই-কম ইউনিভার্স” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রোজ বুধবার, বিকাল ৪ ঘটিকায়।
উক্ত সেমিনারে বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের তিনজন স্বনামধন্য বৈশ্বিক ই-কমার্স উদ্যোক্তা।
১) মোঃ কামরুল হাসান, ই-কমার্স স্ট্র্যাটেজিস্ট, সেলার অ্যান্ড কনসালটেন্ট।
২) হোসাইন আলতাফ, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং এন্থুসিয়াস্ট, সেলার, স্ট্র্যাটেজিস্ট।
৩) আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিজনেস কনসালটেন্ট ও ই-কম এন্থুসিয়াস্ট।
বৈশ্বিক বাজারে নিজস্ব উৎপাদনশীল পণ্য বিক্রি এবং কার্যপদ্ধতি নিয়ে উক্ত সেমিনারটি বাংলাদেশীদের ই-কমার্স জগতে নূতন সূচনা এনে দিবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।