দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্ব যেনো এক ই-কমার্স হাওয়ায় দুলছে। সে বৈশ্বিক হাওয়ায় পাল তুলে সফলভাবে নোঙর করেছেন অনেক বাংলাদেশী।
২০২০ অর্থবছরে বৈশ্বিক ই-কমার্স মার্কেট সাইজ ভ্যালু ছিলো ১০.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এই মার্কেটের বর্তমান গ্রোথ রেইট ১৪.৭%। তথাপি বৈশ্বিক ই-কমার্সে বাংলাদেশীদের সুযোগ দিন দিন বেড়ে চললেও সে মাত্রায় আমরা অবদান রাখতে পারছে না সঠিক জ্ঞান এবং কর্ম পদ্ধতির অভাবে।
সেই সংকট কাটাতে ইকম গ্লোবালের উদ্যোগে এবং বিজনেস গ্লোবালাইজারের আয়োজনে ঢাকাস্থ সিক্স সিজন হোটেলে ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো “ইন্টু ক্রস-বর্ডার ই-কম ইউনিভার্স” শীর্ষক সেমিনার। উক্ত সেমিনারে দেশি বিদেশি বক্তারা কথা বলেন।
বিজনেস ও লিগাল কনসালটেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্যবসা বৈশ্বিক সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে যে সকল আইনী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো সমাধান যোগ্য। বিজনেস গ্লোবালাইজার ২০১৬ সাল থেকে ১০০০ এর অধিক দেশী-বিদেশী কোম্পানীকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফর্মেশন, লিগ্যাল স্ট্রাকচার ,পেমেন্ট স্ট্রাকচার (পেপাল, স্ট্রাইপ, অথোরাইজ ইত্যাদি) বিষয়ে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেছেন ও ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিচ্যানেল ইকমার্স গঠনে ভূমিকা রেখেছেন।
গ্লোবাল ই-কমার্স সেলার ও স্ট্র্যাটেজিস্ট মোঃ কামরুল হাসান বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশের ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাগুলো উল্লেখযোগ্য হারে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়িয়ে বৈশ্বিক ই-কমার্সের বড় একটি জায়গা দখল করে রাখলেও বাংলাদেশ থেকে তেমনভাবে বৈশ্বিক ই-কমার্স উদ্যোক্তা উঠে আসছে না। তাই বাংলাদেশের এ নিয়ে কাজ করার বৃহৎ সুযোগ রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক থেকে আগত বক্তা মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং কনসালটেন্ট, ই-কমার্স স্ট্র্যাটেজিস্ট হোসাইন আলতাফ বলেন, “প্রচলিত ধারণা থেকে বের হয়ে, আমাদের গ্লোবাল ই-কমার্সে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং এর দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং ডমেস্টিক প্রোডাক্টকে ইন্টারন্যাশানাল বাজারে নিয়ে যাওয়ার যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। যেহেতু, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে নামিদামী কোম্পানিগুলোর জন্য পণ্য উৎপাদনে করছে এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামেও উৎপাদনে সক্ষম।”
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিজিএপিএমইএ পরিচালক, মেম্বার এফবিসিসিআই, কো-চেয়ারম্যান, ইম্পোর্ট(এফবিসিসিআই) জনাব ওমর ফারুক বলেন, “গার্মেন্টস পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে চামড়াজাত পণ্য নিয়েও কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও সুযোগ-সবিধা বেড়েছে। যেহেতু আমরা নিজেরাই প্রক্রিয়াজাত চামড়া উৎপাদনে সক্ষম; পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিজস্ব ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমেও আমরা বৈশ্বিক বাজারে আরও অবদান রাখতে পারি।”
এ ছাড়া, জনাব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব, মিনিষ্ট্রি অব কমার্স; গার্মেন্টস পণ্য ছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত অন্যান্য পণ্যের বৈশ্বিক বাজার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব, মিনিষ্ট্রি অব কমার্স।
ওমর ফারুক, বিজিএপিএমইএ পরিচালক, মেম্বার এফবিসিসিআই, কো-চেয়ারম্যান, ইম্পোর্ট।
জহির উদ্দিন আলমগীর, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিজিএপিএমইএ
আবু নাঈম, অ্যাসিস্টেন্ট এক্সকিউটিভ সেক্রেটারি, ডিসিসিআই
শফিউল খান, সিনিয়র ম্যানেজার, আড়ং বাংলাদেশ।
আলতামিশ নাবিল, লোকাল প্রেসিডেন্ট, জেসিআই, ঢাকা ওয়েস্ট
নাজিব রাফি ডিউক, অদম্য প্রকাশ
উসমান শাকিল, ড্রপশিপিং এন্ট্রারপ্রিনিয়ার সহ আরো অনেকে ।
এছাড়াও এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বেসিস, এলএফএলইএবি, বিজিবিএইচএ, ডিসিসিআই, বিজেএমএ, ডব্লিউইএবি, বিএসিসিও এবং ইক্যাবসহ বিভিন্ন ট্রেড এসোশিয়েশন । করোনার আক্রান্ত থাকায় অনেকেই অনুষ্ঠানে আসতে পারেন নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
উক্ত সেমিনারের আয়োজক, আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, “আজকের প্রোগ্রামটি ক্রস বর্ডার ই-কমার্স ধারনা নিয়ে আমাদের প্রথম সেমিনার। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য, ব্যবসায়ী ও উৎপাদক ভাইদের গ্লোবাল ই-কর্মাসে স্বাগত জানানো এবং ক্রমবর্ধমান এগিয়ে যাওয়া এই খাতের শক্তি এবং প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে অবহিত করা। আমাদের ইচ্ছা রয়েছে, নিয়মিত বিরতিতে আরও প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও উৎপাদক সমাজকে তথ্য এবং কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের ব্র্যান্ডিং এবং অর্থনীতেতে অবদান রাখা।
আমাজন, ওয়ালমার্ট, ইবে, ফেইসবুক, মার্কারির মতো বৃহৎ গ্লোবাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক বিপণনের স্বার্থে সারা বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য নিজেদের পণ্য বৈশ্বিক বাজারে উন্মুক্ত করার দারুণ সুযোগ চলমান রয়েছে।
বৈশ্বিক বাজারে নিজস্ব উৎপাদনশীল পণ্য বিক্রি এবং কার্যপদ্ধতি নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামটি বাংলাদেশীদের গ্লোবাল ই-কমার্স জগতে নূতন সূচনা এনে দিবে বলেই আয়োজকদের বিশ্বাস। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English