দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস এক দিক থেকে শরীরের পক্ষে ভালোই। তবে এর একটি খারাপ দিকও রয়েছে। আর তা হলো ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া।
বর্ষা হোক কিংবা শীতই হোক- বছরের সব ঋতুতেই বাঙালির মুড়ি ছাড়া যেনো চলে না। সন্ধের নাস্তায় মুড়ি-চপ তো বটেই, অনেকেই তো আবার প্রাতরাশেও মুড়ি খেতে পছন্দ করেন। তবে প্রতিদিন এভাবে মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস কী স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়?
চিকিৎসকরা বলেছেন, মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস এক দিক থেকে শরীরের পক্ষে ভালো। পেট খারাপ হলে পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক সময় প্রাথমিকভাবে মুড়ি পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
মু়ড়ি কীভাবে শরীরের যত্ন নিতে পারে
# যারা খুব বেশি অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য মুড়ি খুবই কার্যকর একটি জিনিস হতে পারে। নিয়মিত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস পেটে অ্যাসি়ডিটির ক্ষরণে ভারসাম্য তৈরি করে থাকে। হঠাৎ করে খুব অম্বল হলে মুড়ি পানি ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে করে দ্রুত উপকার পাবেন।
# মুড়িতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। আয়রণ শীতকালে হাড়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারে।
# হালকা খিদে মেটাতে মুড়ির জুড়ি নেই। মুড়িতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক কম থাকে। ক্যালোরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজনও বাড়ে না। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা নিয়মিতভাবে মুড়ি খেতে পারেন।
# অনেক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। তাদের জন্য মুড়ি বেশ উপকারীও হতে পারে। কারণ মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই মুড়ি খাওয়ার কারণে রক্তচাপ বাড়ার কোনও আশঙ্কাও থাকে না।
তবে মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসি়ডের পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই অনেকেই মুড়ি এড়িয়ে চলেন। যাদের ইউরিক অ্যাসি়ডের সমস্যা নেই, তারা কিন্তু নির্দ্বিধায় মুড়ি খেতে পারেন। তবে যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই মুড়ি থেকে দূরে থাকতে হবে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।