দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৌড়ানোর সময় আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে, সামনের দিকে তাকিয়ে দৌড়ান ও কাঁধ শিথিল করুন। এই পন্থায় দৌড়ালে আপনি আরও ভালো করে শ্বাস নিতে পারবেন।
করোনার সময় যখন জিম বন্ধ ছিল, তখন অনেকেই সুস্থ থাকতে ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে প্রত দিন নিয়ম করে দৌড়াতে শুরু করেন। দৌড়ানো একটি দুর্দান্ত কার্ডিও হিসাবেও বিবেচিত হয়। এটি আপনাকে সীমিত সময়ের মধ্যে অনেক পরিমাণে ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে থাকে।
নিয়মিত মাঝারি গতিতে অন্তত ৩০ মিনিট দৌড়াতে পারলে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। তবে কী পদ্ধতিতে দৌড়াচ্ছেন ও কীভাবে শ্বাস নিচ্ছেন সেটিও খুব জরুরি একটি বিষয়।
ব্যায়াম করার সময় অনেকেই শ্বাস আটকে রাখেন। যে কারণে আপনার রক্তচাপ বাড়তে পারে, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব কিংবা এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। শরীরচর্চার সময় সঠিকভাবে শ্বাস নিলে তার কার্যকরিতা আরও বাড়বে। কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম শক্তিশালী হয় ও পেশির দৃঢ়তা আরও হ্রাস করে। এমনকি দৌড়ানোর ক্ষেত্রেও সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে তা গতি বাড়াতে আরও সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে ওজন ঝরবে খুব দ্রুত।
দৌড়ানোর সময় শ্বাস নেওয়ার সঠিক উপায়ই হলো আপনার পা ফেলার সঙ্গে নিঃশ্বাসের ছন্দ মানিয়ে তারপর চলা। আপনার দৌড়ানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাসও নিন ও শ্বাস ছাড়ুন। এই পদ্ধতি মেনে চললে শরীরচর্চার সময় দেহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতিও হবে না। তাছাড়াও, দৌড়ানোর সময় আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, সামনের দিকে তাকিয়ে দৌড়ান ও কাঁধ শিথিল করুন। এই পন্থায় আপনি আরও ভালো করে শ্বাস নিতে পারবেন।
আমরা সকলেই নাক দিয়ে শ্বাস নিই কারণ নাকের ভিতরের লোম ফুসফুসে পৌঁছানোর আগে বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরচর্চার সময় আমরা নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারি ও মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে পারি। তবে দৌড়ানোর ক্ষেত্রে মুখ দিয়েই প্রশ্বাস ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। জোরে দৌড়ানোর সময় এই পদ্ধতি মেনে চললে পেশিগুলির দ্বারা শরীরে বর্ধিত অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
তবে শুরুতে হয়তো আপনার চলমান গতির সঙ্গে নিঃশ্বাসের ছন্দ মেলানো কঠিন হতে পারে। তাই সঠিকভাবে শ্বাস নিতে এই কৌশল অনুশীলন করতে পারেন।
# একটি শান্ত জায়গায় বসুন ও আপনার চোখ বন্ধ করুন।
# নাক দিয়ে নি:শ্বাস নিয়ে মনে মনে চার গুনুন।
# এখন ৭ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখুন।
# মুখ দিয়ে প্রশ্বাস ছাড়ুন ৮ পরিমাণ সময় গুনতে গুনতে।
# গোটা প্রক্রিয়াটি আবারও করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।