দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মাকে খুনের দায় স্বীকার করা ঐশীর বয়স নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন অনুযায়ী ঐশী শিশু নয়, শিশু আইনের বাইরেই বিচার হতে পারে।
স্কুলে ভর্তির সময় যে বয়স দেওয়া ছিল, তাতে বলা হয়েছিল তার বয়স ১৭। সে বয়সের সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারণ পুলিশের হাতে ধরা দেওয়ার পর ঐশী নিজেই বলেছিল তার বয়স ১৮/১৯। যেহেতু বয়স নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে তাই আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বাবা-মাকে হত্যা করার অভিযোগে রিমান্ডে থাকা ঐশী রহমানের বয়স পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। বয়স নিয়ে বিতর্ক এড়াতে গতকাল আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ঐশী ও তাদের বাসার কাজের মেয়ে সুমিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাদের ৫টি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া ঐশীর পায়ের গোড়ালি, হাঁটু ও কোমরের বিভিন্ন হাড়ের এক্সরে করা হয়। ওইসব পরীক্ষার মাধ্যমে ঐশীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করা সহজ হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, নিহত পুলিশ দম্পতির ঘনিষ্ঠজনদের তথ্য মোতাবেক ঐশীর বয়স ১৮ বছর পার হয়েছে। ১৯৭৪ সালের শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী ১৬ বছর পর্যন্ত শিশু। আর ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি। আর নতুন করা শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন হয়েছে গতকাল বুধবার (২১শে আগস্ট ২০১৩) থেকে। তাই এর আগে যত ঘটনা ঘটেছে তা আগের আইনের আওতায় পড়বে। ফলে ঐশীর বয়স ১৬ বছরের বেশি হলেই তাকে আর শিশু বলার কোন সুযোগ নেই। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই মোতাবেক ঐশীকে আর শিশু বলা যাবে না। স্কুলের বয়সও যদি সঠিক ধরা হয় তাও তার বয়স ১৬ বছরের উপরে। সেই মোতাবেক তার শিশু আইনের বাইরে বিচার হতে পারে। তথ্যসূত্র: দৈনিক মানব জমিন।