দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলা। তাই এই সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হলে গুড়ই খাওয়া উচিত। কারণ গুড় হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলার মিষ্টি খেতে বড়ই মন চায়। কখনও কেক-পেস্ট্রি কখনওবা রসগোল্লা খাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ফরমায়েশ থাকে। তবে এই অবস্থায় খুব বেশি মিষ্টি খেতে বারণ করে থাকেন চিকিৎসকরা। তাহলে রসনা তৃপ্তি হবে কীভাবে? একান্তই মিষ্টি যদি খেতেই ইচ্ছে করে তাহলে খেতে পারেন গুড়। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী এই গুড়। তাছাড়াও গুড় আয়রণ সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর মাত্রায় খনিজ লবণও রয়েছে। সীমিত মাত্রায় খাওয়া হলে সঠিক পরিমাণে গ্লুকোজ সরবরাহও করতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গুড় খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন
# আয়রণের ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতাও দেখা দিতে পারে। গুড়ের মধ্যে আয়রণের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
# তাছাড়াও গুড়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এটি সংক্রমণ এড়াতেও সহায়তা করে থাকে। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হলো এই গুড়।
# অন্ত:সত্ত্বার এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলা। গুড় হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
# গুড় ম্যাগনেশিয়ামের একটি ভালো উৎস। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়তা করে এটি।
# গুড়ে থাকে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম অন্তঃসত্ত্বাদের দেহে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে, যা অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।