দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ (শনিবার) নতুন সিইসি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন এই নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহান হাবীব খান।
নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৭ সালে।
বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ধর্ম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ছিলেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন।
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন এই কমিশনের পরিচালনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হলেও কবে নাগাদ তারা শপথ গ্রহণ করবেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইতিপূর্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি করতে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু করেন, যা চলমান ছিলো ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এইসব সংলাপে আমন্ত্রিত ৩২টি দলের মধ্যে থেকে অংশ নেন ২৫টি। তবে বৃহত্তম দল বিএনপি এই সংলাপ ও নাম প্রদানের বাইরে ছিলো।
এই বছরের ২৭ জানুয়ারি ইসি নিয়োগের আইন সংসদে পাস করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতি গত ৫ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি গঠন করেন।
৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রথম বৈঠক করেন এই সার্চ কমিটি। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি দ্বিতীয় বৈঠক করে নিবন্ধিত দল, সংগঠন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে নাম আহ্বান করে।
এরপর ১১ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। যারা নাম জমা দেননি, তাদের জন্য সময় বাড়ানোর ঘোষণাও আসে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি বিদায় গ্রহণ করে এবং ইসিতে নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। পরদিন কমিটির সভায় ৩ শতাধিক নাম যাচাই-বাছাই ও ১৯ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সভায় ওই তালিকা হতে ২০ জনে নামিয়ে আনা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি কমিটির ষষ্ঠ সভায় ১২/১৩ জনের নামের তালিকা নির্ধারণ করা হয় এবং ২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তম সভায় ১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
তারপর ২৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয় এই সার্চ কমিটি। যেখান থেকে এই ৫ জনের নতুন কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।