দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘরে বসে থাকলেও চুপ করে বসে নেই। টেলিফোনকেও যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিরোধের পাশাপাশি বিশ্বের অনেক নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত এক ফোনেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয় ফোনে তাকে অনুরোধও করে যাচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সি এই ইউক্রেন নেতা।
রুশ অভিযান শুরুর দিন হতেই পশ্চিমা রাষ্ট্র প্রধানদের খুব একটা পাশে পাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অকল্পনীয় ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে পশ্চিমাদের রাজি করাতে সক্ষম হয়েছেন জেলেনস্কি। যেমন, রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের এতো নেতার সঙ্গে ফোনালাপ কিছুটা অবাকের বিষয় বলা যায়। রুশ আগ্রাসন শুরুর পরপরই তিনি সর্বপ্রথম ফোনে যোগাযোগ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী, সুইজাল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান, নেদার্যালেন্ডসের প্রধানমন্ত্রী, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, জার্মান চ্যান্সেলর ও সর্বশেষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। বাদ যায়নি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েনও।
যোগাযোগের ফলশ্রুতিতে অন্যান্য দেশগুলো শুধু রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় নয়, পেয়েছেন সামরিক সহায়তাও। রুশ আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক, আর্থিক এবং জ্বালানিখাত, আকাশসীমাসহ অনেক জায়গায় ভয়াবহ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে মস্কো। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তেও শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অন্যতম বিষয় হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ‘রাশিয়ার মালিকানাধীন, রাশিয়ার নিবন্ধিত এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত’ উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশপথ নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়াও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাবে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যে কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি রিজার্ভ জব্দ হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির শীর্ষ কূটনৈতিক জোসেপ বোরেল। আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো সুইফট সিস্টেম হতে বের হয়ে যাবে।
তবে রাশিয়ার ওপর সব নিষেধাজ্ঞাই যে জেলেনস্কির অনুরোধে করা হয়েছে তা নয়। কিছু পূর্বেই প্রস্তুত ছিল। ইউক্রেনে অভিযান চালানোর আগে থেকেই মস্কোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।