দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতে কিভাবে ঘুমালে শরীরের জন্য ভালো সেই বিষয়টি আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক পাশ ফিরে ঘুমালে দূরে থাকে রোগ ব্যাধি।
রাতে ঘুমের সময় আমাদের শরীর ব্যস্ত থাকে সারা দিনের সকল প্রকার ধকল মুছে, নতুন করে কর্মশক্তি সঞ্চয় করার জন্য। শরীরে যা ক্ষয় হয়েছে, সেটিও এই সময় মেটানোর চেষ্টা করে শরীর। মস্তিষ্ক কিছুক্ষণ কম কাজ করে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। ভিতরের কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিস এই সময় বার করে দেয় মস্তিষ্ক। সে কারণেই ঘুম ভাল হওয়াটা জরুরি। তাতে শরীর এবং মস্তিষ্ক তরতাজা থাকে। কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুম পেলে দূরে থাকে মস্তিষ্কের নানা রোগ ব্যাধি।
সবচেয়ে বেশি কোন অসুখ নির্ভর করে ঘুমের উপর?
অ্যালঝাইমার্স রোগের সঙ্গে ঘুমের অভ্যাসের সরাসরিভাবে যোগসূত্র রয়েছে। ঘুমের সময় এক ধরনের প্রোটিন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরিও হয়ে যেতে পারে শরীরে। যে কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মানসিক স্থিতি হারানোর মতো সমস্যাও তখন শুরু হয়। যে প্রোটিনের কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে, তা সাধারণত জমতে শুরু করে মস্তিষ্কের এক পাশ থেকে।
বিশেষ করে যাদের পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস, তাদের ক্ষেত্রে অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কম থাকে বলে জানিয়েছে গবেষণা। তবে কী কারণে এমন হয়ে থাকে? ২০১৫ সালে ‘জার্নাল অব নিউরোসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী দেখা যায়, এক পাশ ফিরে ঘুমানো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি। এই ভঙ্গিতে ঘুমাতে পারলে মস্তিষ্কের সব বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ পায়। যে কারণে সাধারণত বর্জ্য জমে অসুস্থ হওয়ার কারণ ঘটে না।
সেইসঙ্গে মেরুদণ্ডের বিশ্রামের জন্যও পাশ ফিরে ঘুম বেশ উপযোগী। তাতে পিঠ, মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড অনেকটাই বিশ্রাম পায়। মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম পেলে মানসিক কোনও সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও তখন কমে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English