দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধ কখনও শান্তি বয়ে আনতে পারে না। তাই যুদ্ধের বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধ থাকেন সবাই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বা বলা যায় এক পক্ষের যুদ্ধ অর্থাৎ রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা করে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্লেষকরা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন যে আগামীদিনগুলোতে ইউক্রেনের এই সংঘাত ঠিক কোন দিকে যাবে। সম্ভাব্য কয়েকটি চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
হতে পারে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ
রাশিয়া হয়তো তার সামরিক কর্মকাণ্ড আরও তীব্রতর করতে পারে। ইউক্রেন জুড়েই নির্বিচারে কামানের গোলাবর্ষণ এবং রকেট হামলা চালানো হতে পারে। এ পর্যন্ত রুশ বিমান বাহিনী এই যুদ্ধে খুব বড় কোনো ভূমিকা পালন করেনি। তবে এই বিমান বাহিনীই এবার হয়তো আকাশ থেকে মারাত্মক সব আক্রমণ পরিচালনা করছে। কয়েক দিনের মধ্যে রাজধানী কিয়েভের পতন ঘটলো। এরপর সরকারকে উৎখাত করে সেখানে একটা মস্কোপন্থি পুতুল সরকার বসানো হলো।
দীর্ঘ যুদ্ধ হতে পারে
রুশ বাহিনী তাদের নেতৃত্বের অদক্ষতা, যুদ্ধের সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার সমস্যা, নিম্ন মনোবল-এ রকম নানা কারণে কিছুটা দমেও যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে, ইউক্রেনীয়দের কড়া প্রতিরোধের কারণে রুশদের পক্ষে কিয়েভের মতো শহরগুলো দখল করতে বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে। যে কারণে যেটা হতে পারে তা হলো, দীর্ঘ সময় ধরে শহরগুলো ঘেরাও হয়ে থাকতে পারে।
পুরো ইউরোপজুড়ে যুদ্ধ
হয়তো এমনও হতে পারে এই যুদ্ধ ইউক্রেনের সীমান্ত পার হয়ে বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো রাশিয়ার সাবেক সোভিয়েত সাম্রাজ্যের আরও কিছু অংশ পুনর্দখল করার চেষ্টাও করতে পারেন। তিনি হয়তো মলদোভা ও জর্জিয়াতেও রুশ সৈন্য পাঠাতে পারেন। আবার নিতান্তই ভুল হিসাব-নিকাশের কারণেও হয়তো যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কূটনৈতিক সমাধান কী?
বিস্ময়কর হলেও এটিই সত্য যে, রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই বেলারুস সীমান্তে দুই দফা বৈঠকও করেছেন। এতে হয়তো এখনও তেমন কোনো অগ্রগতিই হয়নি, তবে বৈঠকের প্রস্তাবে পুতিন রাজি হওয়ায় এটা বোঝা যাচ্ছে, তিনি আলোচনার মাধ্যমে একটা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে মেনেও নিয়েছেন। তবে প্রশ্ন হলো, এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পশ্চিমা জোট কোনো উপায় প্রস্তাব করতে পারেন? কূটনীতিকরা বলছেন যে, রুশ নেতার এটা বোঝা দরকার যে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলতে হলে তাকে তার বিনিময় কী করতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন পুতিনও
একটা গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আর তা হলো, ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষেত্রে কী ঘটবে? ইউক্রেন অভিযান শুরু করার সময় তিনি বলেছিলেন যে, ‘আমরা যে কোনো পরিণতির জন্যই তৈরি।’ তবে সেই পরিণতি যদি এমনই হয়, পুতিনকেই ক্ষমতা হারাতে হলো। লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজের অধ্যাপক স্যার লরেন্স ফ্রিডম্যান এই সপ্তাহেই এক নিবন্ধে লিখেছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘এটা এখন খুবই সম্ভব যে কিয়েভ ও মস্কো, যে কোনোখানেই ক্ষমতার পটপরিবর্তন হতেই পারে।’ কেনো তিনি এ কথা বলেছেন? এর কারণ সম্ভবত এটিই যে, পুতিন আসলে এক বিপর্যয়কর যুদ্ধে নেমেছেন। এতে হাজার হাজার রুশ সৈন্য মারাও যেতে পারে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ডেকে আনতে পারে এক দুর্ভোগ। পুতিন জনসমর্থনও হারাতে পারেন। হয়তো একটা গণবিপ্লবের হুমকিও সৃষ্টি হতে পারে ও রাশিয়ার সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এলিট শ্রেণী পুতিনের বিপক্ষেও চলে যেতে পারেন। রাশিয়ায় একটা রক্তাক্ত প্রাসাদ অভ্যুত্থান ঘটে যেতে পারে আর তখন পুতিন উৎখাতও হতে পারেন।
এইসব সম্ভাবনাগুলো সবই যে সত্যি হবে তা কিন্তু নয়। তবে হয়তো এগুলোর কোনো একটি-দুটি মিলে ভিন্ন কোনো পরিণতিও ডেকে আনতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে সব কথার শেষ কথা বিশ্বের কোনো মানুষই যুদ্ধের পক্ষে নন। সবাই যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং শান্তির পক্ষে। আর এটিই শেষ কথা। তথ্যসূত্র: বিবিসি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।