দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সেটি যে জিনিসই হোক না কেনো। ঠিক তেমনি অ্যালোভেরা ভালো জিনিস হলেও অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
অ্যালোভেরার হরেক গুণ রয়েছে। তবে অ্যালোভেরার অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে নানা সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অ্যালোভেরায় ‘অ্যালোইন’ নামক এক প্রকার উপাদান থাকে। আর খাদ্যের মাধ্যমে এই উপাদানটি গ্রহণ করার সর্বোচ্চ মাত্রা হলো দশ পিপিএম। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই মাত্রা হলো ৫০ পিপিএম। এই পরিমাণের বেশি অ্যালোভেরা গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
রক্তে শর্করার মাত্রা
অ্যালোভেরার রস নিয়মত পান করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ হলো অ্যালোভেরার রস আকস্মিকভাবে রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষত: ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ঘোরতর বিপদও ডেকে আনতে পারে।
পানিশূন্যতা
পরিমিত পরিমাণ অ্যালোভেরা ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে, তবে অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালোভেরা আরও বিগড়ে দিতে পারে দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য। শুধু তাই নয়, তৈরি করতে পারে পানিশূন্যতাও। অতিরিক্ত অ্যালোভেরার রস বদলে দিতে পারে প্রস্রাবের রং।
ডায়েরিয়া
অ্যালোভেরা মল নরম রাখতে বেশ কার্যকর। তাই অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য অ্যালোভেরার রস পান করে থাকেন। তবে অতিরিক্ত অ্যালোভেরার রস খেলে হতে পারে ডায়েরিয়া। এমনকি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।