দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের উড্ডয়ন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো মার্টিন জেটপ্যাক নামের বিশেষ উড্ডয়ন যন্ত্রকে পরীক্ষামূলক উডয়নের অনুমতি দিয়েছেন। এছাড়া ২০১৪ সাল নাগাদ এই বিশেষ জেটপ্যাকটি বাজারেও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি।
আকাশে উড়ে বেড়ানোর বাসনা মেটাতে এখনো মানুষের উড়োজাহাজের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু পাখির মতো মুক্ত আকাশে একা একা উড়ে বেড়ানোর স্বাদ এতে মেটে না। সেই স্বাদ মেটাবার কাজই জেটপ্যাকের। এটি কিছুটা চেয়ারসদৃশ একটি যন্ত্র, যাতে একজন মানুষ বসলে তা তাকে নিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াতে পারবে। অনেকদিন থেকেই এমন অভিনব একটি যন্ত্র প্রস্তুত করতে কাজ করছিলেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু প্রথম বানিজ্যিকভাবে উৎপাদনক্ষম জেটপ্যাক তৈরি করতে সমর্থ হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রকৌশলীরা।
৮০’র দশকে গ্লেন মার্টিন নামে নিউজিল্যান্ডের এক প্রকৌশলী এই জেটপ্যাক তৈরি শুরু করেন। প্রায় তিন দশকের নানা সংযোজন বিয়োজনের পর ২০১১ সালে প্রথম ‘জেটসন’ নামের একটি জেটপ্যাকের মডেল উন্মোচিত হয়, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০০০ ফিট উপরে ৭ মিনিটের মত ভেসে থাকতে সমর্থ হয়। বাজারজাত শুরু হলে প্রাথমিকভাবে এটি সামরিক এবং অগ্নিনির্বানের কাজেই এটি ব্যবহৃত হবে। আর এই যন্ত্র কিনতে খরচ পড়বে দেড় থেকে আড়াই লাখ ডলার। ২০১৫ সাল থেকে আগ্রহী সাধারণ মানুষদের জন্য জেটপ্যাকের বিনোদনমূলক একটি ভার্সন বাজারজাত করা হবে।
পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের এই অনুমতিকে জেটপ্যাকের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হসেবেই দেখছে প্রস্তুতকারক মার্টিন এয়ারক্রাফট কোম্পানি। এতোদিন ধরে সাধারণ মানুষের প্রচুর আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই এই যন্ত্রে বসে উড়বার সুযোগ পেতেন। নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পর ঝুঁকি নিতে আগ্রহীরা জেটপ্যাকে বসে ওড়ার সুযোগ পাবে।
তথ্যসূত্র: হামিংটন পোস্ট, স্কাই.কম