দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ থেকে শুরু করে সব প্রাণীতেই ভালোবাসার সঙ্গীটি বেছে নিতে নানা মাপকাঠির পরিমাপে বিচার করতে হয়। আর সেসব মাপকাঠি কেবল ভালোবাসারই, সঙ্গীকে উৎরে যেতে হয় শারীরিক সৌন্দর্য, রুচিবোধ, আর্থিক অবস্থানসহ আরো নানা বৈষয়িক মাপকাঠিতে। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দেখেছেন যে, কেবল মানুষই নয়, উভচর গোত্রভুক্ত প্রাণী ব্যাঙের স্ত্রী সদস্য সেসব পুরুষকেই প্রাধান্য দেয়, যারা প্রেমের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও দক্ষ।
প্রাণিজগতে সাধারণত স্ত্রী সদস্যরা সাধারণত শারিরীক বৈশিষ্ট্য, গায়ের রঙ, গলার স্বর এবং সন্তান পালনের ক্ষমতা বিচার করে নিজেদের পুরুষ সঙ্গী খুঁজে নেয়। কিন্তু এতোগুলো গুণ কিভাবে তৎক্ষণাৎ বিচার করা সম্ভাব? ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিজ্ঞানীরা ‘অ্যানিমেল বিহেভিয়ার’ নামের জার্নালের আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত তাদের গবেষণাটিতে বলেছেন, ধূসর গেছো ব্যাঙদের পুরুষ সদস্যরা স্ত্রী সদস্যদের আকর্ষণের জন্য যে বিশেষ ডাক দেয়, সেই ডাক শুনেই স্ত্রী ব্যাঙেরা বুঝে নেয়, কোন পুরুষটি প্রেম ছাড়াও অন্যান্য বৈষয়িক ব্যাপারে পারঙ্গম। সাধারণত পাণিপ্রার্থী পুরুষ ব্যাঙটি এক মিনিটে ৫ থেকে ১৫ বার ডাক দেয়। এছাড়া প্রতি ডাকে ২০ থেকে ৪০বার স্বরের স্পন্দন ঘটে থাকে। প্রায় ১০০০ পুরুষ ব্যাঙের রেকর্ডকৃত গলার স্বর শুনে দেখে গেছে, সেই ব্যাঙগুলোই স্ত্রী ব্যাঙের অনুগ্রহ পায় যাদের ডাক বেশি ঘনঘন এবং অনেক বেশি স্পন্দনসমৃদ্ধ। এছাড়া শুধু গান গেয়ে গেয়ে ডাকলেই হবে না, একই সঙ্গে নাচের মত শারীরিক ভঙ্গি করেও আকর্ষণ করতে হবে প্রেমিকাকে।
উল্লেখ্য, কিভাবে একটি ব্যাঙ অনেক ব্যাঙের ডাকের মধ্যে সঙ্গীকে চিনে নিতে পারে, সেই প্রক্রিয়া আবিষ্কারই বিজ্ঞানীদের দলটির উদ্দেশ্য। তারা ধারণা করছেন, এই প্রক্রিয়া আবিষ্কার হলে তা মানুষের জন্য উন্নত ধরনের শ্রবণ যন্ত্র নির্মানে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল মনিটর