সারাদিন বার বার লেবু চা খেলে শরীরের ক্ষতি হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুধ-চিনি দিয়ে চায়ের পরিবর্তে লেবু চা দিয়েই দিনটা শুরু করেন অনেকেই। আপনি ভাবছেন এই অভ্যাসেই দ্রুত ঝরবে মেদ! আসলেও কী তাই?

নিজের ওজন নিয়ে আপনি কী বেশ সচেতন? দুধ-চিনি দিয়ে চায়ের পরিবর্তে লেবু চা দিয়েই সারাদিন পার করছেন? ভাবছেন এই অভ্যাসেই মনে হয় দ্রুত ঝরবে মেদ! অনেকেই আবার কাজের ফাঁকে চনমনে হতে বার বার লেবু চায়ে চুমুক দেন। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু চা খেলে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে। জেনে নিন এর থেকে শরীরে আসলে কী কী ক্ষতি হতে পারে:

দাঁতের ক্ষয়

নিয়মিত যারা লেবু চা খান, তাদের দাঁতে এনামেল ক্ষয়ের লক্ষণও দেখা যায়। তাই অত্যাধিক মাত্রায় লেবু চা না খাওয়াই উত্তম। এতে করে দাঁতের ক্ষয় আরও বাড়বে। লেবু চা খাওয়ার পর অবশ্যই ভালো করে কুলকুচি করে নিতে ভুলবেন না, নইলে দাঁতের ব্যথায় ভুগতে পারেন।

অ্যাসিডিটির সমস্যা

অতিরিক্ত লেবু চা খেলে অন্ত্রের পিএইচের মাত্রায় পরিবর্তন চলে আসে। আর তখন অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এর থেকে বুক জ্বালার অনুভবও করতে পারেন। আবার বমিও হতে পারে। গ্যাস, পেট ব্যথা, ডায়ারিয়া এমনকি গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শরীরে পানির ঘাটতি

গরমে ডিডাইড্রেশনের সমস্যায় কমবেশি প্রায় সকলেই ভোগেন। ঘাম এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। লেবু চা বেশি মাত্রায় খেলে তা মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। যে কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

গর্ভপাতের ঝুঁকি

অন্ত:সত্ত্বা মহিলাদের জন্য লেবু চা একেবারেই নিরাপদ নয়। এতে থাকে ক্যাফেইন। এই অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনাও থাকে। এ ছাড়াও অ্যাসিডিটির সমস্যাও হয়।

অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি

অতিরিক্ত লেবু চা খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। এতে অস্টিওপরোসিসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অ্যালঝাইমার ঝুঁকি

দীর্ঘদিন ধরে লেবু চা পানের অভ্যাস বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। সে কারণে স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে চাইলে লেবু চা কম পান করাই ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।