দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তার পায়ে গুলি করে ডাকাতি করলো একদল ডাকাত। তারপর রান্নাঘরে ঢুকে পাস্তা, ডিমভাজা করে খেলো ডাকাতরা!
সম্প্রতি গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোলকাতার হাওড়ার শ্যামপুরের বানেশ্বরপুরের গুড়েপোল এলাকাতে। ডাকাতদের ভয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘণ্টাখানেক ঘরের মধ্যেই পড়ে রইলেন গৃহকর্তা। পরে ডাকাতদল চলে গেলে জখম হওয়া ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইটের গাঁথুনি এবং টালির চালের বাড়ি সুকুমার গায়েনের। মাঠের একেবারে মাঝখানে তার বাড়ি। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে অন্যান্য প্রতিবেশীর বাড়ি।
ঘটনার দিন রাতে সুকুমার, তার স্ত্রী, তাদের বছর দশেকের মেয়ে এবং বছর চারেকের ছেলে বাড়িতেই ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাত দু’টা নাগাদ তারা ঘরের দরজায় কয়েকজনের লাথির আওয়াজ শুনতে পান।
বাইরে থেকে তারা হুমকি দিতে থাকেন। ভয়েই দরজা খুলে দেন গৃহকর্তা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দু’জন মুখে কাপড় ঢাকা আঁততায়ী হুড়মুড়িয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। বাড়িতে যা রয়েছে তা দিয়ে দিতে বলে। আলমারির চাবি দেওয়ার দাবিও জানায়। তবে গৃহকর্তা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় আঁততায়ারীরা। ভয়ে তারা সব কিছুই দিয়ে দেন।
তারপর ডাকাতরা এক রাউন্ড গুলিও চালায়। সুকুমারের চার বছরের ছেলের গলায় থাকা একটি ২ ভরি রুপার হার ছিনিয়ে নেয়।
সুকুমারের বাড়ির পাশেই বসবাস তারই শাশুড়ি কল্পনা হান্দোলের। সুকুমারকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতেও যায় ডাকাতরা। সেখানেও দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। তাকেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ডাকাতরা। একটি বাক্সের চাবিও দিতে বলে। সুকুমার বাধা দিলে তার বাঁ পা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার পায়ের পাশে গুলি লাগে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। ভয়ে শেষ পর্যন্ত ওই মহিলাও চাবি দিয়ে দেন। সোনার গয়না পায় ডাকাতরা। ডাকাতরা আরও একবার গুলি চালায়। তারপর ওই বাড়ির সদস্যদের একটি ঘরে আটকে রাখে দুষ্কৃতীকারীরা।
সংবাদ প্রতিদিন এর এক খবরে বলা হয়, তারপর ডাকাতদল বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। তারা ডিম ভাজে ও পাস্তা রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে। তারপর ডাকাতরা চলে গেলে কোনওক্রমে সুকুমারের শাশুড়ি কল্পনা ঘরের শিকল খুলে বের হয়ে পড়েন। তারপর সুকুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।