দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের তিন শিক্ষার্থী মিনা নামের রোবট তৈরি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন।
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন সাগর, শান্তনু আচার্য এবং ইয়াসির আরাফাত হৃদয় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় মিনা নামে এই রোবটটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। রোবটটিকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিতে পারে। এদিকে এই বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর রোবটটি দেখার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও উৎসুক জনতা প্রতিদিন ভিড় করছেন। বর্তমানে রোবটটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরিতে রাখা হয়েছে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা রোবটটিকে যখন প্রশ্ন করছে বাংলাদেশের জাতির পিতার নাম কী? রোবটটি অনায়াসে উত্তর দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোথায়, বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখই বা কবে, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম কী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী, বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, ফল এবং পাখির নামের প্রশ্নের উত্তরে সবকিছুই ঠিকঠাক বলছে রোবটটি। তাছাড়াও রোবটটি বিভিন্ন ছড়া এবং গানও গাইতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমকে এই বিষয়ে শিক্ষার্থী শান্তনু আচার্য বলেছেন, রোবটটি তারা শিশুদের বিনোদনসহ পড়াশোনার সঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই তৈরি করেছেন। তবে এটিকে বাসাবাড়ি ও শপিংমলের নিরাপত্তার কাজেও ব্যবহার করা সম্ভব। বাসাবাড়িতে অগ্নিসংযোগ বা অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে এলার্ম বাজাবে এবং মোবাইল ফোনে কলের মাধ্যমে সতর্ক করে দেবে এই রোবর্ট। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার প্রযুক্তির বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, আমরা সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে এই রোবটটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরীফ সোবহান বলেছেন, ছেলেদের এই সাফল্য আমি বিস্মিত হয়েছি। এর পেছনে আমার বিভাগের সকল শিক্ষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা ছিল। কোনো পক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা রোবটটিকে আরও আধুনিক এবং উন্নত করে বাজারজাত করতে পারবো বলে মনে করি।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জয়দেব চন্দ্র সাহা বলেছেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা এবং যে কোনো কিছু তৈরির বিষয়ে গুরুত্বও দিচ্ছি। এই রোবট তারই প্রতিফলন বলা যায়। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে বলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।