দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকলের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক একটি আবেগই হলো রাগ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রিপুও। একইসঙ্গে বলা যায় স্বাভাবিকও।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে বহিঃপ্রকাশ ঘটে রাগের। জীবনের অন্যতম একটি অংশই হলো এই রাগ। রেগে গিয়ে দু’চার কথা শুনিয়ে হালকা হওয়া যায় সেটা অবশ্য ঠিক। তবে সবক্ষেত্রে রাগ স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। এটি নির্ভর করছে রাগের কারণ এবং মাত্রার উপর। কখনও কখনও দেখতে পাওয়া যায় রাগের বিষয় ও পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকছে না। বিষয়টি হয়তো খুবই নগন্য মনে হতে পারে। তবে তাকে কেন্দ্র করে যে ঝড় উঠে, তা সাইক্লোনের সমান বলা যায়। এক একজনের ক্ষেত্রে আবার রাগের বহিঃপ্রকাশেও ভিন্নভাবে ঘটে। কেও কেও বেশি সময় ধরে রাগ পুষে রাখেন। আবার কেও অল্পেতেই যেনো শান্ত হয়ে যান।
এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ভাষার প্রয়োগের বিষয়টি। রেগে গেলে বশে থাকে না নিজ জিভ। অনেক কটু, অপ্রীতিকর কথা, বেঁফাস মন্তব্য থেকে জন্ম নেয় আরও অনেক ছোট ছোট সমস্যার। যার জেরে নষ্ট হয়ে যায় সম্পর্ক, আত্মীয়তা এমনকি বন্ধুত্বও। রাগের বশবর্তী হয়ে নিজেকে ও বাকসংযম করতে না পারার সমস্যা নিয়েই সম্প্রতি কোলকাতার আনন্দবাজার অনলাইনে ফেসবুক এবং ইউটিউবে আলোচনায় বসেন দেশটির মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘লোক কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এটি ছিল ৮ম পর্ব। এই পর্বের বিষয় ছিলো ‘রাগলে হুঁশ থাকে না।’
জীবনে সফল হতে না পারা অর্থই ব্যর্থতা নয়! আবার সেই বিষয়টি মনে করালেন মনোবিদ অনুত্তমা। রাগ একটি সহজাত প্রবৃত্তি। তবু কোথাও গিয়ে যেনো মন এবং শরীরের অন্দরে এক গভীর ক্ষত তৈরি করে থাকে। তেমনই কিছু অভিজ্ঞতার কথা উঠে আসে এই আলোচনায়। প্রতি পর্বের আগেই অনুত্তমার কাছে পাঠানো যায় প্রশ্ন। এই পর্বেও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ই-মেলে তেমনই কিছু প্রশ্ন পান এই মনোবিদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই এমন একটি পরিবেশে তিনি বড় হয়েছেন যেখানে সকলেই কথায় কথায় রেগে যান। এখন তিনি নিজেও অতি অল্পেই রেগে ওঠেন। মা-বাবা, এমন কি বাড়ির কারও কথায় সহ্য করতে পারেন না। রাগের মাথায় দু’-এক বার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছেন তিনি। তবে প্রচণ্ড রাগ হলে এখন ছাদে চলে যান তিনি। কিছু ক্ষণ একা বসে থাকেন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তার রাগের তীব্রতা। এই সমস্যার অনুরণন পাওয়া গেলো দেবদূতি ঘোষালের এক প্রশ্নে। তিনি জানিয়েছেন যে, বাড়ির লোক জানেন বলেই তার রাগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন। তবে মাত্রাতিরিক্ত রাগের সময় তার দিকে কটু কথা, ব্যক্তিগত আক্রমণও এসেছে। সেই সময় ভীষণ রকম প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব কাজ করেছে তার। রাগ দেখাতে গিয়ে এমন কিছু কাজ করেও ফেলেছেন, যেগুলি পরে কষ্ট দিয়েছে তার মনে। নিজেকে অনেক বার বোঝানোর পরেও রাগ থেকে দূরে রাখতে পারেননি। ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে সেই রাগের স্থানান্তর করাও সম্ভব নয়। আজ যদি তা চিহ্নিত করা যায় বা ওই দিনের কোনও রাগ নিজের মধ্যে অবদমিত থেকে যায়, ফিরে গিয়ে তা পূরণ করে আসা সম্ভবও নয়। রাগ মূলত একটি নেতিবাচক রিপু। তার পুরোপুরি ক্ষয় কখনও সম্ভব নয়। তবে নিজেকে সামাল দেওয়ার উপায় আপনাকে জানতে হবে। আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। যে ঘটনা কিংবা স্মৃতি এই মাত্রাছাড়া রাগের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে, সেখানে বারবার ফিরে না যাওয়াই আপনার জন্য ভালো। তাতে করে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তবে রাগ শেখার ভাষা পরিবর্তনশীল। চাইলেই তা বদলে নেওয়া সম্ভব। বিষয়টি বোঝালেন মনোবিদ অনুত্তমা।
রাগ যদি নিজের মধ্যে এতোটা তোলপাড় ঘটাতে সক্ষম হয়, তাহলে তা সামাল দেওয়ার সমাধানও নিশ্চয়ই থাকবে। রাগ গিলে ফেলাই কী তাহলে একমাত্র উপায়? এই ব্যাপারে রূপমের প্রশ্নটি বেশ প্রাসঙ্গিক বলা যায়। তিনি জানতে চেয়েছেন, অনেক সময় এক রাশ বিরক্তি থেকেও জন্ম হয়ে থাকে রোগের। রাগ হলে তা বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে বার করে দেওয়ার কথাও বলেন অনেকেই। সেটাই কী মুক্তির একমাত্র উপায়? আবার অনেকেই আছেন রেগে গেলে কোনও কথায় তখন বলতে পারেন না। কী বলবেন বুঝতেও পারেন না।
মনোবিদ বললেন, ‘‘আসলে রাগ এমন এক আবেগ, যা অন্যের দিকে ধাবিত হলে হয়তো তাকে ধ্বংস করে ফেলতে ইচ্ছা করে, আবার নিজের দিকে এলে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করে। মানসিক অবসাদ আসলে নিজের দিকে পাঠিয়ে দেয় রাগ। অন্যকে খারাপ লাগাটাই হলো রাগ। আর নিজের প্রতি তিক্ততা চলে আসা হলো অবসাদ। অন্যকে ধ্বংস করতে না পারলে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মধ্যে একটা বার্তাও থাকে। আর সেখান থেকেই চলে আসে আত্মহননের ভাবনা। তবে সেটাই একমাত্র সমাধানের পথ নয়। নিজের বা অন্যের- কারও ক্ষতির উর্ধ্বে উঠেও রাগের ভাষা তৈরি করা সম্ভব। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘অ্যাসার্টিভনেস’। যেখানে অন্য কাওকে আঘাত করা মোটেও উদ্দেশ্য নয়। আর এই কষ্ট পাওয়া থেকে নিজেকে সামলে নেওয়াই হবে একমাত্র লক্ষ্য।’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on এপ্রিল ৪, ২০২২ 12:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…