দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তরমুজ কেবলমাত্র গরমকালে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে, এমন কিন্তু নয়। এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট নানা ভাবে যত্নে রাখে শরীরে।
গরমের এই সময় অনেকেরই পছন্দ তরমুজ। শরীর ঠাণ্ডা করে আবার গলাও ভেজায় এই ফলটি। তবে শুধু কি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যই এই ফল খাওয়া হয় গরমের সময়? তা কিন্তু নয় মোটেও। এই ফল খাওয়ার আরও অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
৫ হাজার বছর পূর্বে তরমুজের প্রথম দেখা মেলে মিশরে। এরপর স্বাদের গুণে এই ফল ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। তরমুজ এমন একটি ফল, যাতে নানা প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও মজুত রয়েছে। লাইকোপিন, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড ও সাইট্রুলিন- এই ৩টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে এই তরমুজে। এই সব উপাদান হার্টের সমস্যা থেকে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও নানা কাজে লাগে।
কোন কোন গুণের কারণে গরমকালে তরমুজ খাওয়া দরকার
# তরমুজে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম। যে কারণে এই ফল প্রায় সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকর বলা যায়। এটি কারও ক্ষতি করবে না।
# তরমুজে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিন এ, বি ৬, সি রয়েছে তরমুজে ভরপুর। সেইসঙ্গে রয়েছে পটাশিয়ামও।
# তরমুজে উপস্থিত সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষয় আটকায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হৃদযন্ত্রেরও যত্ন নেয়।
# চোখ এবং ত্বকেরও যত্ন নেয় তরমুজ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, দু’টিই ত্বক এবং চোখের জন্য খুবই ভালো। ভিটামিন বি৬ রয়েছে তরমুজে। যা ত্বক আরও কোমল করে।
# তরমুজে উপস্থিত পটাশিয়াম আবার পেশীর জোর বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে পেশীশক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।