দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পারলেন না শেহজাদ, যদিও তাঁর অপরাজিত ৯৮ রানের ব্যাটিংই দু’দলের ভেতর পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের করা ১ উইকেটে ১৭৯ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান তুলতে সক্ষম হয়। পাকিস্তান ১৯ রানের জয় পায়। শেহজাদের সুযোগ ছিলো পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টিটোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছোঁয়া, কিন্তু ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রন জানায় জিম্বাবুয়ে। যদিও অধিনায়ক ব্র্যান্ডন টেইলরের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি জিম্বাবুইয়ান বোলাররা। খেলার শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলে পাকিস্তান। ৫.৪ ওভারে মাসাকাদজার বলে ক্যাচ আউট হবার আগে নাসির জামশেদ খেলেন ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংস। এটিই ছিলো জিম্বাবুইয়ানদের প্রাপ্ত একমাত্র উইকেট। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড ১৪৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ২০ ওভারে ১৭৯ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেন শেহজাদ এবং হাফিজ জুটি।
১৭৯ রানের ইনিংস গড়ার পথে শেহজাদ খেলেছেন ৬৪ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস যা পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিলো মিসবাহ উল হকের ৮৭ রানের ইনিংস। যোগ্য সঙ্গী হিসেবেই খেলেছেন অধিনায়ক হাফিজ। ৪০ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুইয়ানদের শুরুটা ছিলো টিটোয়েন্টির হিসেবে খুবই ধীর গতির ব্যাটিং, যার ফলে শেষ পর্যন্ত ১৯ রানের হার মেনে নিতে হয় তাদের। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ৩৩ বলে ২৩ রান করে সিবান্দা আউট হয়ে যাবার পরপরই মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক টেইলর, দুটি উইকেটই নেন পাক অধিনায়ক হাফিজ। এরপর দলীয় ৯৫ রানের মাথায় আবারও আঘাত হানেন হাফিজ, ফিরিয়ে দেন মাসাকাদজাকে। ৩২ বলে ৪১ রান করেন মাসাকাদজা।
এরপর ১৪.৪ এবং ১৪.৬ ওভারে উইলিয়ামস এবং মারুমার টানা দুটো উইকেট তুলে নেন জুলফিকার বাবর। ১০৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় জিম্বাবুয়ের। তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন চিগুম্বুরা এবং ওয়ালার, তবে সাফল্যের দেখা তাঁরা পাননি। ১৪৬ রানের মাথায় ১৪ বলে ২০ রান করে ওয়ালার আউট হয়ে গেলেও ১৯ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন চিগুম্বুরা। সর্বশেষ ২০ ওভারে ১৬০ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
সর্বোচ্চ রান করায় আহমেদ শেহজাদ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন। আগের ম্যাচেও ৭০ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিনি, ফলে দুই ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কারটিও তিনি জিতেছেন।