দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্নাঘরে আদা না থাকলে চলে না। কারণ অনেক নিরামিষ পদ রান্নার স্বাদ আনতে আদাই ভরসা। তবে বহু দিন এটি ভালো রাখবেন কীভাবে?
বাঙালিদের রান্নাঘরে আদা ছাড়া যেনো ভাবাই যায় না। নানা আমিষ-নিরামিষ পদে আদা প্রধান উপাদান। এছাড়াও আদা চা, আদা ভেজানো পানি, আদার আচার- নানাভাবে ব্যবহার হয় এই উপাদানটি। এর ঔষুধি গুণের কথাও বহু যুগ ধরেই জানা আমাদের। অতিমারির পর বাকি দুনিয়াও সেই কথাও কিছুটা জেনেছে। পুষ্টিবিদরা প্রতিদিন কোনও না কোনওভাবে আদা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না, দীর্ঘ দিন আদা ভালো রাখার উপায়। গোটা আদা একবারেই ব্যবহার হচ্ছে, এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। তাই অনেক সময় একটুখানি ব্যবহারের পর বাকি আদাটা খারাপ হয়ে যেতে পারে।
# একটি গোটা আদা যদি ৩/৪ দিনে শেষ করে ফেলতে চান, তাহলে রান্নাঘরেই রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছায় না, এমন জায়গাতে রাখুন।
# ফ্রিজে রাখলে একটি টিস্যু পেপারে ভালো করে মুড়িয়ে একটি বায়ুবন্ধ কৌটায় রেখে দিন। এভাবে আদা ভালো থাকবে বহুদিন। খোসা ছাড়াবেন না, খোসা ছাড়ালে খুব বেশিদিন ভালো থাকবে না।
# যদি আদা কেটে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে তারপর রাখতে চান, তাহলে একটি বায়ুবন্ধ কৌটা ফ্রিজারে রেখে দিতে পারেন। এভাবে আরও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। রান্নার কিছুক্ষণ আগে বের করে রেখে দিন। এরপর গ্রেটারে থেঁতো করে নিতে পারেন।
# অর্ধেক পানি, অর্ধেক ভিনেগারের সঙ্গে সামান্য একটু চিনি মিশিয়ে একটি শিশিতে রাখুন। তারমধ্যে আদার খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে তারপর রেখে দিন। এভাবে আচারের মতো করে রেখে দিলেও আদা বহু দিন ভালো থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।