দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই রয়েছেন সামান্য ভরপেট খেলেই পেটে গ্যাস হয়ে যায় এবং বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয়। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন বাসে কিংবা গাড়িতে উঠলেই বমি শুরু করে দেন। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন অস্বস্তিকর তেমনি বিব্রতকর। তাই অস্বস্তিকর কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন ঘরোয়া কিছু মসলা কিংবা পাতা দিয়ে। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য এমনি কিছু টিপস তুলে ধরবো।
১. আদা
বমি বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ঔষধ হলো এই আদা। তাই আদাকে কুচি কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। অনেকেই রয়েছে আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না। তারা একটু গরমপানি আদার সিদ্ধ রসটি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
২. লবঙ্গ
যখনই বমিভাবের লক্ষণ দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গিয়েছে।
৩. পুদিনা
পুদিনার মনোহরি গন্ধে আপনি হবেন বিমোহিত এবং আপনার বমিভাব চলে গিয়ে আপনাকে করবে চাঙ্গা। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি ঔষধ। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে পুড়ে চিবুতে থাকুন।
৪. দারুচিনি
অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।
৫. লেবুর রস
একথা প্রায় সকলেরই জানা যে, টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু তা যদি গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হয়ে থাকে তবে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে যদি আশেপাশে লেবুর গাছ পান তাহলে কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে শুকতে পারেন। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।