দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোজা রাখার কারণে রমজানে আমরা শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ি। এই কারণে আমাদের স্বাভবিক কার্যক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। তবে একটু সচেতন হয়ে কিছু বিষয় অনুসরণ করলে রমজানে কর্মঠ থাকা কঠিন কিছু নয়।
সেহরীর পরপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন
আপনার পেশাগত, পারিবারিক বা অন্যান্য যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেহরীর পর শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন। খাদ্য গ্রহণের পর এই সময়ে আপনার শরীরের স্বাভাবিক শক্তি ফিরে আসবে। এই সময়টি তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজের পিছনেই লাগানো উচিত। শরীর খুব ক্লান্ত থাকলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
কাজের লিস্ট করুন
রমজানে কাজের লিস্ট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রোজা রাখার কারণে এ সময় আপনি সব ধরনের কাজ করতে পারবেন না, সেহেতু যে সব কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি লিস্ট করে মনোযোগ সহকারে একের পর এক করতে থাকুন।
বিশ্রাম নিন
কাজের চাপ থাকলেও বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনাকে স্মরণে রাখতে হবে যে, রমজানে স্বাভাবিকভাবেই আপনি কিছুটা ক্লান্ত থাকতে পারেন। তাই নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ঠিক হবে না। অতিরিক্ত চাপের কারণে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
লক্ষ্য ঠিক করুন
রমজানে আমরা সাধারণত কোরান পড়া ও নতুন সুরা শেখার উপর গুরুত্ব দিই। আপনার এই ধরনের ইচ্ছা থাকলে প্রথমেই বড়ো কোনো লক্ষ্য নিয়ে শুরু করবেন না। ধরুন, আপনি একটি নতুন সুরা শিখতে চাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে একবারে দ্রুত সেটি শেখার চেষ্টা না করে প্রতি দিন দুই লাইন মুখস্থ করতে পারেন।
ইফতারের আগে কিছুক্ষণ ঘুমান
যদি সম্ভব হয় তাহলে ইফতারের আগে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন। অফিস, স্কুল বা কলেজ থেকে আসার পর আমরা এমনিতেই বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এ সময় জেগে থেকে কোনো কাজ করা হলে ক্লান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলে আপনার ক্লান্তি কেটে যাবে এবং রোজা রাখাও সহজ হবে।