দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাদিনই বিভিন্ন কাজের জন্য চোখ রাখতে হয় কম্পিউটার এবং মোবাইলে। এর জন্য চোখের ওপর অনেকটা চাপ পড়ে। তাই কম্পিউটার-মোবাইল থেকে আপনার চোখ বাঁচাবেন কীভাবে?
নির্দিষ্ট দূরত্ব রক্ষা করা
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কম্পিউটারের পর্দা হতে চোখের ব্যবধান হতে হবে অন্ততপক্ষে ২৫ ইঞ্চি। এর থেকে কম দূরত্বে থাকলে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষত: দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে সমস্যা। সেইসঙ্গে চোখ থেকে কম্পিউটারের পর্দা একটু নীচের দিকে রাখতে হবে।
২০-২০ নিয়ম মানুন
শরীর সুস্থ রাখতে হলে যেমন নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন পড়ে, ঠিক তেমনই চোখ ভালো রাখতেও করতে হবে চোখের ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০ নিয়মটি। এই নিয়ম অনুসারে ২০মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরত্বের কোনো একটি বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেইসঙ্গে বারবার চোখের পলক ফেলাও অত্যন্ত জরুরি।
পর্যাপ্ত আলো থাকা
চোখ ভালো রাখতে হলো অবশ্যই কম্পিউটারের আলোর সমন্বয় করে নিতে হবে। অতিরিক্ত ছোট স্ক্রিন এবং অস্বাভাবিক আলো চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে পর্দার অক্ষরও বড় মাপের হওয়া বাঞ্ছনীয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো রয়েছে এমন স্থানে রাখতে হবে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় একটানা তাকিয়ে থাকলে দেখা দিতে পারে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ও। কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের পর্দা যেহেতু দ্রুত সময়ে পরিবর্তিত হয়, তাই বারবার কেন্দ্রীভূত করতে হয় চোখের দৃষ্টি। এতে করে চোখের পেশী এবং স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। একভাবে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে কমে যায় চোখের পলক পড়ার সংখ্যাও। যে কারণে দ্রুত শুকিয়ে যায় চোখ। তাই নিয়মিতভাবে চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া এবং নিয়মিত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
সবুজ শাক-সবজি খাওয়া
প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, কমলালেবুও খেতে পারেন। এই সমস্ত খাবার চোখের কর্নিয়া ভালো রাখে।
গ্লাস ব্যবহার
অবশ্যই চোখের জন্য কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করতে হবে। কম্পিউটার গ্লাসের ব্যবহারে ঘাড়, পিঠ, চোখ সুরক্ষিত থাকবে। অ্যান্টি গ্লেয়ার কোটিং কম্পিউটার হতে নির্গত আলো থেকেও সুরক্ষা দেয় এই গ্লাস। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করা মোটেও ঠিক না।
চক্ষু পরীক্ষা করা
যারা নিয়মিতভাবে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাদের নিয়মিতভাবে চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। চোখ পরীক্ষা পুরো শরীর পরীক্ষার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, টিউমারের মতো সমস্যাগুলোও চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।