দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত কিংবদন্তী অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে হারানোর আজ (১৭ এপ্রিল) এক বছর পূর্ণ হলো। গত বছরের এই দিনে তিনি পাড়ি জমান অনন্তলোকে।
গত বছর (২০২১) এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় নায়িকা। তারপর ভর্তি হন কুর্মিটোলা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিএমএইচ এ ভর্তি করা হয়। তবে তারপরও ফেরানো যায়নি এই কিংবদন্তীকে।
তাঁর মৃত্যুতে শুধু শোবিজ অঙ্গন নয়, শোকের সাগরে ভাসে যায় সারা দেশের মানুষ। যদিও চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষরা এখনও বলেন, শারীরিকভাবে বাংলার কিংবদন্তী অভিনেত্রী কবরী দূরে চলে গেলেও তিনি আছেন কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে; তার কর্মে। তার অভিনীত অসংখ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
তার ভক্তরা মনে করেন, বহুকাল ধরে তিনি বেঁচে থাকবেন বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মননে। সুতরাং -এর জরিনা, রংবাজ -এর চিনি, বধূ বিদায় -এর মায়া কিংবা সারেং বউ হয়েই।
সাদামাটা বালিকা মিনা হতে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার কবরী। কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন শুধু অভিনয় গুণের মধ্য দিয়ে। ১৯৬৪ সালে সবেমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী থাকা অবস্থায় যুক্ত হন সিনেমায়। তখন স্কুল, পড়াশোনার বাইরে একটু আধটু নাচ করেন! অথচ সেই সময়েই প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্তের আবদার, তাকে অভিনয় করতে হবে চলচ্চিত্রে! তারপর সেই শুরু।
মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার সমর্থনে শুরু হয় পথ চলা ‘সুতরাং’ দিয়ে! তারপর আর তাকে পেছনে ফিরতে হয়নি। চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়ায় পা রেখেই মিনা হয়ে উঠেন এক সময় কবরী!
অসুস্থ হওয়ার ঠিক ক’দিন পূর্বেই কবরী শেষ করেন তার পরিচালিত সরকারি অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘এই তুমি সেই তুমি’র শুটিং। ডাবিং এবং সম্পাদনার কাজও করছিলেন। ছবিতে কবরী নিজে অভিনয়ও করেছেন। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেন সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে ছবিটি মুক্তি প্রতীক্ষায় রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।