ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় লিভার সুস্থ রাখতে যে খাদ্যগুলো খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গরমের দিনে আপনার খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে পারেন যা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই উপকারী।

জীবনযাত্রায় আধুনিকতা, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম কিংবা প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরতের অভাবে যে সব অসুখ খুব সহজেই শরীরে বাসা বাধে, তারমধ্যে অন্যতম হলো ফ্যাটি লিভার। অল্প বয়সেও এই রোগ বাসা বাধতে পারে যে কারও শরীরে। আবার খুব সহজে এই অসুখের লক্ষণ বোঝার উপায়ও নেই।

তবে লিভারে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তখন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই মনে করেন, কেবলমাত্র মদ্যপানের অভ্যাসের কারণেই এই অসুখ হয়ে থাকে। তবে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়ে থাকে। অ্যালকোহলিক এবং নন-অ্যালকোহলিক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান হতে লিভারে চর্বি জমলেই তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট। তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি মূলত খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদান বেড়ে গেলে। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অনেক সময় বংশগত কারণেও হতে পারে।

খাদ্য তালিকায় কিছু বদল আনলেই লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। গরমের দিন আপনার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে পারেন, যা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই উপকারী। সেই খাবারগুলো সম্পর্কে আজ জেনে নিন।

আঙুর

একটি ভালো সুস্বাদু ফল আঙুর। এই আঙুরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি লিভার থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দিতে বেশ উপকারী। এটি লিভারে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

লেবু

ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের বর্জ্যপদার্থগুলি বের করে দিতে এটি ভীষণ উপকারী। গরমের দিনে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতেও লেবু খাওয়া যেতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লেবু রাখাটা অত্যাবর্শক।

সজনে ডাটা

সজনে ডাটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঝুড়ি মেলা ভার। সজনে ডাটা হজমশক্তি বাড়ায় ও রক্ত পরিস্রুত করে। বিভিন্ন গবেযণায় দেখা গিয়েছে যে, সজনে ডাটা লিভার ফাইব্রোসিস রোগের ঝুঁকিও কমায়।

গ্রিন টি

মেদ ঝরাতে গ্রিট টি-র উপরে ভরসা রাখাই যায়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি লিভারের চারপাশের মেদ জমতেই দেয় না। লিভার সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি রাখতে পারেন।

দই

প্রোবায়োটিকের দারুণ উৎস দই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, লিভারে জমে থাকা ফ্যাট ঝরাতে দই সাহায্য করে থাকে। আবার গরমের দিনে খাদ্যতালিকায় দই রাখলে হজম ক্ষমতাও বাড়ে। আবার পেটও পরিষ্কার থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।