দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় খিদে কমে যাওয়ার প্রবণতা সকলের ক্ষেত্রে দেখা না গেলেও কিছু কিছু নারীদের মধ্যে এমনটি দেখা যায়। তাহলে কী কারণ রয়েছে এর পিছনে?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, এই সময় খিদে না পাওয়ার অন্যতম কারণই হলো ‘অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভেসা’। অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় মহিলারা তাদের নিজের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা প্রাণেরও খেয়াল রেখে থাকেন। তাই এই সময় শরীর ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় অনেকেরই খিদে কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তখন কোনও কিছুই খেতেই ইচ্ছে করে না। খেলেও আবার বমি হয়ে যায়। বিশেষ করে প্রথম ৩ মাসে খাবারের অরুচি অন্ত:সত্ত্বাদের বেশি দেখা যায়। এই সময় যতো দিন গড়ায় ততোই অন্ত:সত্ত্বা মহিলাদের শরীরে ক্যালোরির প্রয়োজন আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এই সময় খেতে না ইচ্ছে করলেও বেশি করে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই সময় শরীরে নানা হরমোনের পরিবর্তনও ঘটে থাকে। তবে এই সময় খিদে না পাওয়ার অন্যতম কারণই হলো ‘অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভেসা’। চিকিৎসা সংক্রান্ত পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।
‘অ্যানারেক্সিয়া নার্ভেসা’-য় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সময়ের পূর্বে বা কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বেশিই থাকে। প্রতি ২০০ জন গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ১ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিভিন্ন কারণে মানসিক উদ্বেগ বা চিন্তা জন্ম নেয়। এই চিন্তা থেকেই খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই চলে যায়। সাধারণ অবস্থাতেও অনেক সময় কোনও কারণে মানসিক চাপে থাকলে তার প্রভাব পড়ে খাওয়ার উপর। তখন কোনও কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন আরও বেশি করে দেখা দেয়। যে কারণে এই সময় খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না। খাওয়ার পরিমাণও তখন কমে যায়। যে কারণে শরীরে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি সৃষ্টি হয়। এমন ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যদিও অনেকের ক্ষেত্রে এর বিপরিতও ঘটে অর্থাৎ অন্ত:সত্ত্বা অবস্থা খিদে আরও বেড়ে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।