দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাথা ব্যথা এড়িয়ে চলার প্রবণতা রয়েছে আমাদের মধ্যে। বিভিন্ন কারণে মাথা যন্ত্রণা হলেও অনেকেই সেটি এড়িয়ে চলেন। কী সমস্যা দেখা দিতে পারে এর কারণে?
সামান্য মানসিক চাপে থাকলেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশে যন্ত্রণা, ঘাড়-মাথা জুড়েই ব্যথা। মাঝে-মধ্যেই অনেকেই এই ধরনের যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকেন। মাথা ব্যথা শরীরের অন্য কোনও সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। তাই মাথা ব্যথার সঙ্গে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া দরকার। সর্দিতে মাথা যন্ত্রণা হওয়া ও মাঝে-মধ্যে মাথা ব্যথায় কাবু হয়ে পড়া কিন্তু এক জিনিস নয়। অফিসে কাজ করছেন, হঠাৎই মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। খিদে পেয়েছে ভেবে সেটি আপনি হয়তো এড়িয়ে গেলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাথার দু’পাশে শুরু হলো মাথা ব্যথা। ভালো ঘুম হয়নি ভেবে মাথা যন্ত্রণার সমস্যাটিও অতোটা গুরুত্ব দিয়ে দেখলেন না। মাথা ব্যথা এড়িয়ে চলার প্রবণতা রয়েছে অনেকের মধ্যে। তাতেই বাড়ে সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মাথা যন্ত্রণাও গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই মাথায় ব্যথা হলে কোনওভাবেই তা এড়িয়ে চলা মোটেও ঠিক হবে না।
মাথা ব্যথা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন কোন সময়?
# মাথা ব্যথার সময় একই জিনিস জোড়ায় (দুটি) দেখা। ইংরেজিতে যাকে ‘ডবল ভিশন’ বলা হয়।
# মাথা যন্ত্রণার সময় বমি পাওয়া।
# মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে সঙ্গে চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
# ক্লান্তি ভাব আসা। কোনও কাজই করতে ইচ্ছে না করা। প্রবলভাবে ঘুম পাওয়া।
# মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে একনাগাড়ে বমি হওয়া।
# ওষুধ খাওয়ার পরও মাথা যন্ত্রণা না কমে যাওয়া।
# মাথা ব্যথার সঙ্গে জ্বর ও অত্যধিক ঘাম হওয়া।
এই সমস্ত লক্ষণগুলো মাইগ্রেন, ব্রেন টিউমার কিংবা অন্যান্য অনেক গুরুতর সমস্যার পূর্বাভাসও হতে পারে। তাই মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে এই আনুষঙ্গিক সমস্যাগুলি দেখা দিলে ফেলে না রেখে অতিদ্রুত অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।