দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিহত পুলিশ দম্পতির একমাত্র কন্যা ঐশী গতকাল তার কৃতকর্মের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাজীপুর কিশোরী উন্নয়ণ কেন্দ্রে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী ও গৃহকর্মী সুমিকে গাজীপুর কিশোরী উন্নয়ণ কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
আদালতে জবানবন্দি শেষে তাকে শনিবার রাত নটার পর গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক তাসলিমা বেগম বলেন, “ঐশীকে অনেকটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে।”
সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানায়, এই উন্নয়ন কেন্দ্রটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা রয়েছে ১৫০ জন। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ১১০ জন কিশোরী বর্তমানে এখানে রয়েছে। তাদেরকে মানসিক পরিবর্তনে কাউন্সেলিং দেয়া হয়। এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয় এবং তাদের হাতের কাজের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অগাস্ট ঢাকার চামেলীবাগে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের এসবির পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১৭ আগস্ট তার একমাত্র মেয়ে ঐশী থানায় গিয়ে নিজেই বাবা-মাকে খুনের কথা বললে পুলিশ তাকে গ্রেফতার ও পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে গতকালই সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে খুনের দায় স্বীকার করে। পরে আদালত গ্রেফতারকৃত ৩ জনের মধ্যে ঐশী ও তাদের কাজের মেয়ে সুমিকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায় এবং ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।