দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরম পড়তে শুরু করেছে বেশ। তবে যাদের ঘরে এসি নেই, শুধুমাত্র ফ্যানের উপর নির্ভর করতে হয় তাদের ঘর ঠাণ্ডা রাখাটা জরুরি। আজ জেনে নিন এই গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে করণীয় বিষয়গুলো।
এই গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আজ জেনে নিন:
বাড়ির ছাদে মাচা
পূর্বে বাড়ির চার পাশে আম কাঠালের বড়সড় গাছ থাকতো। সেই সব গাছের ছায়ায় ঠাণ্ডা থাকতো বাড়ি। সেই সব গাছ এখন না থাকলেও বাড়ির ছাদে মাচা বানিয়ে লাগাতে পারেন লাউ-চালকুমড়োর মতো গাছ-গাছালি। দেওয়াল ধরে নামা গুল্ম জাতীয় গাছও ইচ্ছে করলে লাগাতে পারেন।
মৃদু আলো ব্যবহার
ধরে বাল্ব-টিউব না ব্যবহার করে মৃদু আলো ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে জোরালো আলো না ব্যবহার করে আধুনিক এলইডি লাইট ব্যবহার করলে গরমে কিছুটা হলেও আরাম পেতে পারেন।
ঘরে ঘুলঘুলি
ঘরে ঘুলঘুলি থাকলে বায়ু চলাচলে সুবিধা হয়। যে কারণে ঘরে গরম বাতাস তখন জমতে পারে না। তাই ঘরের ঘুলঘুলিগুলো সাফ রাখুন। সাফ করুন ফ্যান। ফ্যানে ময়লা জমে থাকলে হাওয়া কম লাগতে পারে।
বিছানার চাদর
বিছানার চাদর মোটা ও কারুকাজ বিশিষ্ট হলে ঘাম বেশি হয়ে থাকে। সাদা কিংবা হাল্কা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠাণ্ডা থাকবে। সাদা এবং হাল্কা রঙের কাপড় তাপ শোষণ করে না বরং প্রতিফলিতও করে। তা ছাড়াও হাল্কা রং ঘরে শীতল প্রভাবও ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত বদলাতে হবে বিছানার চাদর। তাতে এসি খুব কম সময় দিলেও চলবে।
সাদা রং
সাদা রং সবচেয়ে বেশি রোদ প্রতিরোধ করে থাকে। তাই ছাদ এবং বাইরের দেওয়াল সাদা বা হাল্কা রঙেও রাঙাতে পারেন।
টেবিল ফ্যান
গরম প্রতিরোধ করতে অনেকেই টেবিল ফ্যান ব্যবহার করে থাকেন। তবে টেবিল ফ্যান চালানোর সময় সামনে একটি পাত্রে কিছু বরফের কুচি রেখে দিলে আরও বেশি ঠাণ্ডা হবে পাখার হওয়া।
ঘরের মেঝে মুছতে হবে
দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার একটু বেশি পানি দিয়ে ঘরের মেঝে মুছতে হবে। এতে করে ঠাণ্ডা থাকবে মেঝে। মেঝে ঠাণ্ডা থাকলে কমবে ঘরের সার্বিক তাপমাত্রা।
রান্নার সময় যা করবেন
রান্নার সময় প্রয়োজনের বেশি উনুন কখনও জ্বালিয়ে রাখা চলবে না। রান্না চলাকালীন চালিয়ে রাখতে হবে চিমনি বা বায়ু নির্গমনের পাখাও। রান্নার আগুন এবং তেল মশলার ঝাঁঝ শুধু রান্নাঘরই নয়, আসেপাশের উষ্ণতাও বাড়িয়ে দেয় অনেকটা।
ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন
সন্ধ্যায় রোদ কমে এলেই ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে। চারপাশের উষ্ণতা কমার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরের ভিতর বায়ু চলাচল বাড়লে কমবে ঘরের ভিতরের উষ্ণতা। কাটবে গুমোট ভাবও।
কৃত্রিম ছাদ তৈরি করুন
বর্তমানে অনেকেই ছাদের উপর আপতিত রোদ কমানোর জন্য ছাদের উপর অতিরিক্ত এক প্রকারের কৃত্রিম ছাদ তৈরি করছেন। লোহার পাইপ ও বিশেষভাবে তৈরি এক ধরনের টিনের পাত দিয়ে এই ছাদ তৈরি হয়। এতে করে সরাসরি রোদ পড়ে না ছাদে, যে কারণে ঘর কম গরম হয়।
টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ব্যবহার
প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যবহার। টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ অতিরিক্ত সময় চালিয়ে রাখলে যন্ত্রগুলো প্রচুর তাপ সৃষ্টি করে।
ভিজিয়ে দিন বাড়ির ছাদ
প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন বাড়ির ছাদ এবং দেওয়াল এতে সারা দিনের রোদে তপ্ত হয়ে থাকা দেওয়াল এবং ছাদ দ্রুত ঠাণ্ডা হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।