দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকলেও মুখের ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। আবার অনেকেরই সানস্ক্রিন মাখলে তীব্র ঘামও হয়। এর সমাধান কী?
অতিরিক্ত দূষণ, কড়া রোদ ও তাপে ত্বকের বারোটা বাজছে। তার উপর যদি আপনি সানস্ক্রিন না লাগান, তাহলে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকার কারণে মুখের ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। তার উপর অনেকেরই সানস্ক্রিন মাখলে তীব্র ঘাম হতে থাকে। তাই ত্বক পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতে চান না অনেকেই। আবার অনেকেই ঘামের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার তৈরি সানস্ক্রিনও ব্যবহার করেন। তাতেও বিশেষ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সানস্ক্রিনের ‘সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর’ বা এসপিএফ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকেও আমাদের ত্বককে রক্ষা করবে। তাই গরমকাল হোক বা শীতকালই হোক সর্বদাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাড়িতে থাকুন কিংবা বাইরেই থাকুন, দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুব জরুরি।
সানস্ক্রিনের ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ঘামের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন:
# সানস্ক্রিন কেনার সময় নির্দিষ্ট এসপিএফ কতো সেটি দেখে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন যে, বেশি এসপিএফ মানেই বোধহয় বেশি সূর্যালোক রোধ করে থাকে। এই ধারণা একেবারে ভুল। সাধারণত, নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে তাহলেই এসপিএফ বাছা উচিত। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তবেই সানস্ক্রিন কিনতে হবে, তবেই ঘাম অনেকটা কম হবে। বাইরে বেরোনোর মিনিট ১৫ আগেই সানস্ক্রিন মেখে নিন।
# সানস্ক্রিন মাখার পূর্বে অবশ্যই তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। সানস্ক্রিনের সঙ্গে পানির এই মিশ্রণ ভালো করে মেখে নিন শরীরে। পানি শরীরের রোমকূপকে ঠাণ্ডা রাখবে, আবার সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের ঘনত্বকেও পানি অনেকটা লঘু করে দেবে। যে কারণে ঘাম কম হবে।
# আবার ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে খুব বেশি ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে সোয়েট ফ্রি বা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল কিংবা স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সূর্যের তাপ থেকে ত্বক যেমন রক্ষাও পাবে, তেমনি ঘামও হবে কম। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।