দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার মতো লক্ষণগুলো ছাড়াও আপনি হৃদরোগের আক্রান্ত কি না তা জানান দিতে পারে আপনার হাত!
নানা ব্যস্ততায় অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মতো কারণে সাম্প্রতিক সময় অনেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা সময় পর থাবা বসাতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ কর উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়াটা জরুরি। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে যদি আগে থেকে তা শনাক্ত করা যায় তাহলে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার মতো লক্ষণগুলো ছাড়াও আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত কি না তা জানান দিতে পারে আপনার হাত।
হাতের কিছু লক্ষণই বলে দেবে আপনার হার্টের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না?
নখের নীচে হালকা রেখা দেখা দেওয়া
লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে অনেক সময় নখের নীচে লাল কিংবা বেগুনি রঙের হালকা সূক্ষ্ম একটি রেখা দেখা যায়। চিকিৎসার পরিভাষায় এটি স্প্লিন্টার হেমারোজিং নামে পরিচিত। এই লক্ষণটি হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। নখের নীচে এমন রেখা ও সেই সঙ্গে মাঝে-মধ্যে জ্বর বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা থাকলে অতি সত্তর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
আঙুলের ডগা ফুলে যাওয়া
আঙুলের ডগা ফুলে যাওয়াও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। ফুলে যাওয়া ছাড়াও হৃদরোগের সমস্যা থাকলে নখের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তবে সব আঙুলে এটি হয় না। তর্জনী এবং বুড়ো আঙুলেই মূলত হৃদযন্ত্রজনিত এই সমস্যার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
হাতের তালু বিবর্ণ হয়ে যাওয়া
হাতের তালু লাল, বাদামি কিংবা বিবর্ণ হয়ে যাওয়াও হার্টের সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। হৃদযন্ত্র ও তার পার্শ্ববর্তী রক্তনালীতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণেও এমন হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলেই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।