দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোলেস্টেরল প্রকৃতপক্ষে মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। যা তৈরি হয় যকৃত হতে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে এই কোলেস্টেরল।
স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে কোলেস্টেরল। তবে শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে গিয়ে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ কিংবা এলডিএল হয়ে যায়। তখন কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় ও কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়েও যেতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা যতোক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততোক্ষণ শরীরে কোনও রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। আর সেটিই মুশকিল হয়ে যায়। সে কারণেই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা দরকার।
কোলেস্টেরল মাত্রা খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলিতে বেশ প্রভাব পড়ে। পায়ের ধমনীগুলো তখন সরু হয়ে গেলে পায়ের নীচের অংশ অনেকটা অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছাতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে যায় খুব সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। উরু কিংবা হাঁটুর নীচে পিছনের দিকে ব্যথাও হতে পারে। হাঁটার সময় এই ধরনের ব্যথা বাড়তে থাকে। অল্প দূরত্বে হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলেই সাবধান হওয়া দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।