দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফটো কিংবা ভিডিও সচারচর বড় সাইজের হয়ে থাকে। ছবি মেগাবাইটে সীমিত থাকলেও ভিডিও কয়েক গিগাবাইট ছাড়িয়ে যায়। যার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ফটো, ভিডিও আদান প্রদানে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য বিজ্ঞানীরা ভেবেছেন। পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন যা মানব চোখের রেটিনার মত কার্যক্ষম হবে।
রেটিনা মানুষসহ সকল প্রকার মেরুদন্ডী প্রাণীদের চোখের অক্ষীগোলকের পিছনের দিকে অবস্থিত স্নায়ুকোষ যুক্ত একটি পাতলা স্তর, যা প্রাণীদের দেখতে সহায়তা করে। এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রেরও অংশ। মানুষের রেটিনাতে আলোক সংবেদী ২ টি কোষ রয়েছে – রোড কোষ এবং কোন কোষ, যাতে আলো পতিত হলে স্নায়ু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই স্নায়ু উত্তেজনা রেটিনার অন্যান্য নিউরন দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয়। বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে মস্তিষ্ক নির্ধারণ করে, কি ধরণের আলো এসেছে বা সেই আলোর সংকেত এ কি ছবি আসে।
বিজ্ঞানীরা মানব চোখ নিয়ে গবেষণা করছেন বহুদিন ধরে। প্রচলতি ক্যামেরাতে নানা সমস্যাগুলো কিভাবে কাটিয়ে উঠা যায়, সেই সমাধান এর সূত্র ধরে বায়োনিক চোখ এর ধারণাও প্রচলিত আছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড এর একটি কোম্পানি আইএনআই ল্যাবস (iniLabs) এর প্রকৌশলীরা Dynamic Vision Sensor (DVS) নিয়ে কাজ করছেন যা অনেকাংশে মানব চোখের রেটিনার মতন কাজ করবে বলে দাবি করছেন তারা। অত্যধিক কার্যকর এবং আল্ট্রাফাস্ট ক্যামেরাতে এই DVS ব্যবহার করা হবে।
প্রকৌশলীবৃন্দরা জানান, DVS খুব কম পরিসরের মধ্যে মাত্র কয়েক মেগাবাইট জায়গাতে অধিক তথ্য ধারণ করবে। যা ফটো, ভিডিও যে কোন মুহূর্তে দ্রুত ব্যবহার কার্যোপযোগী করার কাজে লাগানো যেতে পারে। DVS চারপাশের ঘটনা প্রবাহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ফটো বা ভিডিও দিতে পারবে খুব সহজেই। বিশেষজ্ঞরা জানান, এটা অনেকটা মানব মস্তিষ্কের অনুকরণে তৈরি একটা ব্যবস্থা। তারা দাবি করেন, এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের একটা বড় বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ কিছু তৈরি করা গেল।
তথ্যসূত্র: দি টাইমস্ অব ইন্ডিয়া