দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন স্মার্টফোনের আবির্ভাব যেমন ঘটছে তেমনি আসছে নতুন নতুন ফিচার। বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলো শক্তিশালী র্যাম এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির পাশাপাশি উন্নত ক্যামেরার দিকেও নজর দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কেনার সময় স্টোরেজ, ডিসপ্লে, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন বিষয় দেখে নেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ মানুষ স্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরার খুঁটিনাটি দেখেই নেন। আবার অনেকেই জানেন না যে ভালো ক্যামেরার জন্য ক্যামেরার কোন ফিচারগুলো দেখে নেওয়া উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় যে, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাতেও ছবির কোয়ালিটি একেবারেই ভালো আসছে না। আবার আইফোনের মতো একটি প্রিমিয়াম ফোনে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অথচ তার ছবির মান কতোটা ভালো। এর কারণই হলো ক্যামেরার অন্য উপাদান। তাই স্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরার কোন দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে সেটিই আজ জেনে নিন।
সেন্সর ও তার আকার
মূলত সেন্সর হলো ক্যামেরার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেন্সর আকারে বড় হলে আলো অনেক বেশিই হয়। বড় সেন্সর বেশি আলো ধরে রাখতে পারে। যে কারণে কম আলোতেও ভালো ছবি তোলা যায়। সামগ্রিক ভাবেই ছবি ভালো ওঠে। তাই সেন্সর বড় কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। ভালো সেন্সর হলে তবেই ছবির রঙ এবং চিত্রের তীক্ষ্ণতা সবই উন্নত হবে। শাওমির বের হওয়া নতুন স্মার্টফোনে সবচেয়ে বড় সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে মেগাপিক্সেল কতো তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেন্সর এর সাইজ বড় না-কি ছোট।
পিক্সেল ও এর আকার
ক্যামেরায় যে আলো প্রবেশ করে সেটি পিক্সেলই আটকে রাখে। বড় পিক্সেলও বেশি আলো ধরে রাখতে পারে। যে কারণে কম-আলোতেও ভালো ছবি তোলা যাবে। এমনকি কম আলোর স্পষ্ট ছবি তুলতে হলে পিক্সেল একটি গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইলে বড় পিক্সেল ব্যবহার করে তাকে হুয়াওয়ে, স্যামসাং এর মতো নির্মাতারা।
অ্যাপারচার
মূলত অ্যাপারচারের আকারই (এফ-স্টপ) নির্ধারণ করে দেয় যে, আসলে লেন্সটি কতোটা আলো দেবে। লোয়ার এফ-স্টপ এপ অর্থই হলো, বৃহত্তর অ্যাপারচার ও এর ফলে কম আলোয় ছবিও ভালো হয়।
ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর
মূরত আইএসপি কিংবা ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর ক্যামেরা সেন্সর থেকে ডাটা প্রসেস করতেও কাজে লাগে। এটি মূলত ছবির গুণগতমানকেও অনেকটা প্রভাবিত করে।
অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন
আমরা সবাই জানি ছবি তোলার সময় হাত কেঁপে গেলে ছবি খারাপ হয় যায়। ওআইএস ফোটোগ্রাফি কিংবা ভিডিওগ্রাফির সময় হ্যান্ডশেকের কারণে যে অস্পষ্টতা থাকে, সেটি হ্রাস করে। যে কারণে যে ক্যামেরায় ওআইএস রয়েছে সেই ক্যামেরা ভালো ছবি তুলবে।
এইচডিআর
এইচডিআর (যাকে বলা হয় হাই ডাইনামিক রেঞ্জ) প্রযুক্তি একাধিক এক্সপোজারকে একত্রিত করে উজ্জ্বল ও অন্ধকার উভয় ক্ষেত্রে ছবিতে আরও ডিটেল ক্যাপচারও করতে পারে।
লেন্স
আমরা অনেকেই জানি একটি ভালো মানের ক্যামেরার জন্য লেন্সের গুণমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ট্রিপল-ক্যামেরা স্টাইল এর স্মার্টফোন গত বছর মার্কেটে অনেক জনপ্রিয়ও ছিল। বর্তমানে সাধ্যের মধ্যে কোয়াড-ক্যামেরার স্মার্টফোনও পাওয়া যাচ্ছে। আল্ট্রা-ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল এবং ল্যান্ডস্কেপ স্টাইলে ছবি ক্যাপচার করার জন্য লেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র: মেক ইউজ অব।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org