দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৩ সালের ২য় প্রান্তিক (কিউ২) শেষে মোট ৫.৩৫ কোটি ইউনিট স্মার্টফোন রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং।
ফ্ল্যাগশিপ প্রযুক্তি, অনন্য উদ্ভাবনী এবং গ্রাহক কেন্দ্রিক ব্যবসায় কৌশলের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্মার্টফোন শিল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ২০ শতাংশ বাজার হিস্যার (মার্কেট শেয়ার) অধিকারি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান অর্জন করে নেয় স্যামসাং। মনোমুগ্ধকর ফিচার ও সর্বাধুনিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে স্মার্টফোন শিল্পের শীর্ষে পৌঁছায়। স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে সব সময়ই সামনের সারিতে অবস্থান করে এসেছে স্যামসাং, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে চলতি বছরের ২য় প্রান্তিকে সাফল্যের সঙ্গে ৫.৩৫ কোটি ইউনিট স্মার্টফোন রপ্তানি করেছে স্যামসাং। স্যামসাংয়ের “অসাম” এ-সিরিজের বিপুল জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোর পাশাপাশি এস-সিরিজ এবং জেড-সিরিজসহ অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ মডেলের সাফল্য এই অর্জনের মূল কারণ।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও (কিউ১) ২২ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষেই ছিল স্যামসাং। প্রতিনিয়ত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সেরা দামে সেরা ফিচারের ফোন নিয়ে আসার মধ্যদিয়ে স্মার্টফোনের আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org