দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেও কেও যেমন হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে ডিম খেতে নিষেধ করেন, অপরদিকে কিছু গবেষণা আবার বলছে যে, ডিম নাকি আসলেও ভালো রাখে হৃদযন্ত্র।
হার্টের সমস্যা যাদের রয়েছে সেইসব রোগীদের ডিম খাওয়া উচিত কি না, এই প্রশ্ন অনেকের। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা আবার উস্কে দিল ওই বিতর্ক।
চীনের পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় সম্প্রতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ডিম খাওয়ার সঙ্গে প্লাজমায় কোলেস্টেরল বিপাকের সম্পর্ক আসলে কী। মোট ৪৭৭৮ জনের উপর এই পরীক্ষাটি চালানো হয়। যাদের মধ্যে ৩৪০১ জনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। ১৩৭৭ জনের এই ধরনের কোনও সমস্যায় ছিল না। ‘টার্গেটেড নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসন্যান্স’ নামক এক প্রকার পদ্ধতিতে প্লাজমায় উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার ফলাফল বলছে যে, যারা নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে ডিম খেয়েছেন, তাদের শরীরে ‘অ্যাপোলাইপোপ্রোটিন এ-১’ নামক প্রোটিন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এই প্রোটিনটি মূলত এইচডিএল নামক একটি উপাদানের মূল উপকরণ। এই এইচডিএল কোলেস্টেরলটিই নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত উপযোগী। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভালো থাকবে হৃদযন্ত্রও। তবে গবেষকরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে, ডিমের এই উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।