দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোটখাটো ছ্যাঁকা খাওয়া কিংবা ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা সব রান্না ঘরে লেগেই থাকে। তবে সব সময় তো আর হাতের কাছে মলম থাকে না। তাহলে কী করবেন?
রান্না ঘরে আপনি মাংস রাঁধছিলেন। হঠাৎ করে তেল ছিটে এসে পড়লো আপনার হাতে! সঙ্গে সঙ্গে পানির তলায় হাতটা ধরলেন। তবে তাতে কী সেই আরাম পাবেন? ফোস্কা থেকে আপনাকে বাঁচাবে কে! রান্না করতে করতে গিয়ে এই ধরনের ছোটখাটো ছ্যাঁকা খাওয়া, ফোস্কা পড়ার সমস্যা সব রান্না ঘরে লেগেই থাকে। তবে সব সময় তো আর হাতের কাছে মলম থাকে না। বরফে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যায় বটে। তবে ফ্রিজে যে সব সময়ই বরফ থাকবে, এমন কোনও কথা নেই। তাই আপনাকে ভরসা রাখতে হবে ঘরোয়া টোটকাতেই। আজ দেখে নিন কোন কোন ঘরোয়া জিনিসে আপনি আরাম পেতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
যে কোনও ধরনের ক্ষত বা পোড়া ভাব কমাতে অ্যালোভেরা জেলের কোনও জুড়িই নেই। অনেকেই বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ লাগান। অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিন। তারপর যে অংশে আপনি ছ্যাঁকা খেয়েছেন, সেখানে মলমের মতো করে কিছুক্ষণ মালিশ করে নিন। জ্বালা ভাব থেকে রেহাই পেতে পারেন। কিন্তু পোড়া দাগ? সে ক্ষেত্রেও নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে কয়েক দিন নিয়মিত লাগালে দাগ উধাও হয়ে যাবে।
মধুর
মধু ব্যবহার করেও আপনার এই ধরনের মুশকিল আসান হতে পারে। পোড়া স্থানে মধু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। দেখবেন এতে করে স্বস্তি পাবেন। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ, তাই এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।
চা ব্যবহার
ত্বক পুড়ে গেলে চটজলদি জ্বালা ভাব কমাতে হলে ব্যবহার করতে পারেন লিকার চা। ৩-৪টি টি-ব্যাগ এক কাপ ঠাণ্ডা পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেই লিকার চা একটি তুলোর সাহায্যে ত্বকের পোড়া অংশে অল্প অল্প করে লাগিয়ে নিন। জ্বালা জ্বালা ভাব অনেকটাই কমে আসবে। সংক্রমণের ঝুঁকিও তখন থাকবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।