দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ খৃস্টাব্দ, ১০ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৩ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
পাবনা জেলায় করতোয়া নদীর জলসিঞ্চিত এ অবস্থিত ঐতিহাসিক চাটমোহরের সমাজ গ্রাম। এই গ্রামেই অবস্থিত ঐতিহাসিক সমাজ শাহী মসজিদ।
এই সমাজ শাহী গ্রামে একসময় পাঠান, মোগল, সম্রাটদের বিচরণ ছিল। গ্রামটিতে সম্রাট শেরশাহের পুত্র সুলতান সলিম কর্তৃক ৯৫৮ হিজরিতে অর্থাৎ ১৫৪৯ খ্রিস্টাব্দে এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ নির্মাণ করেন। যা সমাজ শাহী মসজিদ নামেই পরিচিত। ৪৬৫ বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী এই মসজিদটি মনে করিয়ে দেয় পুরনো আমলের নানা কথা।
এই মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫১ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ২২ ফুট। এতে রয়েছে শেওলা পড়া ছাদ। ছাদে ৩টি বড় গম্বুজও রয়েছে। আর ছোট গম্বুজ ৪টি। এর স্থাপত্যশৈলীর প্রণয়মিশ্রিত কারুকার্য। বারান্দায় রয়েছে দুটি লম্বা স্তম্ভ। এটি কষ্টিপাথরের মজবুত স্তম্ভ। প্রশস্ত দেওয়ালে ঘেরা রয়েছে জাফরি ইটের বন্ধন। গায়ে রয়েছে টেরাকোটার নকশা। নকশার অসংখ্য ফলকও। পশ্চিমে রয়েছে শানদার মেহরাব। পূর্বে ৩টি মূল দরজা। রয়েছে কয়েকটি জানালা। বাইরে রয়েছে দুটি কালো পাথর। সেই পাথরে খোদাই করা আয়াত।
ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাংলার গৌড়ে আসেন ১২ আউলিয়া। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শায়েখ আশরাফ জিন্দানি (রহ.)। তাঁর অনুরোধেই পঞ্চদশ খ্রিস্টাব্দে অসাধারণ এই স্থাপনা নির্মাণ করেছিলেন শাহজাদা সেলিম। তখন নির্মিত হয় সাড়ে ৪শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি। এর পাশেই বিরাট দীঘি খনন করা হয়। দীঘির পাড়েই দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত হজরত আশরাফ জিন্দানীর (রহ.) মাজার শরিফ। বর্তমানে এই শাহী মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে। তথ্যসূত্র: https://www.shomoyeralo.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।