দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হেঁশেলে যে মশলাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তারমধ্যে অন্যতম হরো দারচিনি। কারণ এর গুণ অপরিসীম। রান্না ছাড়াও অনেকভাবেই খেতে পারেন এই দারচিনি গুঁড়ো।
বহু যুগ ধরে দারচিনির গুণের কথা প্রচলিত রয়েছে। সুস্বাদু মশলা হিসেবে এর খ্যাতি ছিল বহু আগে থেকেই। সাম্প্রতিক সময় চিকিৎসাবিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে দারচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা। বাজারে দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায়। ক্যাসিয়া ও সিলন। সিলনের দারচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করা হয়। তবে যে কোনও ধরনের দারচিনিরই কী কী গুণ রয়েছে সেটি জেনে নিন।
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়
যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস রয়েছে, প্রত্যেক দিন আধা চা চামচ করে দারচিনি খেয়ে তারা উপকৃত হয়েছেন বলে দেখা গেছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড কিংবা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে এই দারচিনিতে।
প্রদাহ কমাতে
শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই দারচিনিতে। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে কিংবা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে তাতেও ফল পাওয়া যেতে পারে দারচিনি খেলে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
২৬ রকমের মশলার মধ্যে দেখা গেছে দারচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টই সবচেয়ে বেশি। এটি প্রতিদিন খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বক।
মেদ ঝরাতে
আপনি কী মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন? রোজ সকালে স্মুদির মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো ফেলে দিতে হবে। এটি শরীরের বিপাক হার বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর যদি কোনও রকম প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস আপনার থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই দারচিনির গুঁড়ো।
ইনসুলিন হরমোনের কাজে
টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে তখন শরীর ইনসুলিম হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। আর তখন সেই কাজে সাহায্য করে দারচিনি।
রক্তে শর্করা মাত্রা কমাতে
২ চা চামচ মতো দারচিনি প্রতিদিন খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই দারচিনি। ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ হতে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে প্রত্যেক দিন এই মশলাটি খেলে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ও এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতোটা কার্যকর ভূমিকা রাখে এই দারচিনি, তা নিয়েও গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পিছনে দারচিনির অবদান কতোটা রয়েছে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এক গবেষণায় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে যে, অন্ত্রের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম এই দারচিনি। তাই এটি আমরা খেতেই পারি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।