দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘণ্টা তীব্র গতিতে সাইকেল চালালে বিপাক হার বেড়ে যেতে পারে। ক্যালোরির খরচ বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে শরীরের মেদ ঝরতেও সময় লাগে না। তবে কোন রোগ থাকলে প্রতিদিন সাইকেল চালানো চলবে না?
অনেকেই শখে, কেও আবার কাজের প্রয়োজনেই নিয়মিত সাইকেল চালাতে বাধ্য হন। তবে সাইকেল চালানো শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে তা কী আপনি জানেন?
ওজন ঝরানোর জন্য আমরা ভারি শরীরচর্চা থেকে শুরু করে হরেক রকম ডায়েট, কিছুই বাদ রাখি না। তাহলে প্রতিদিন কেবল সাইকেল চালিয়েই মেদ ঝরানো সম্ভব! ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘণ্টা তীব্র গতিতে সাইকেল চালালে বিপাকহার অত্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ক্যালোরির খরচও বেশি হয়। যে কারণে শরীরের মেদ ঝরতেও সময় লাগে না। জোরে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ হতে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়ে থাকে।
নিয়ম করে সাইকেল চালালে উপকারিতা
# কেবল শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও এই অভ্যাসটি দারুণভাবে কার্যকর। একাকীত্ব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ- যেনো কমবেশি সবাইকে ঘিরে ধরে প্রায় সময়। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক স্বাস্থ্যের বেশ উন্নতি করা সম্ভব।
# চিকিৎসকরা বলেছেন, সাইকেল চালানো খুব ভালো একটি শরীরচর্চা। এই অভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে, যে কারণে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে ও শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভালো থাকে।
# বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, নিয়মিতভাবে সাইকেল চালালে ক্যান্সারের মতো মারণরোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়। গবেষকদের দাবি হলো, কেও যদি নিয়মিত সাইকেল চালান, তাহলে তার ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যতো বেশি সাইকেল চালানো যাবে, এই আশঙ্কাও ততোই কমতে থাকবে।
# পেশির গঠন মজবুত করতেও এই ব্যায়ামের জুড়ি নেই। নিয়মিতভাবে সাইকেল চালালে চোট-আঘাত লাগার সম্ভাবনা কমে যায়।
# সাইকেল চালালে স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে থাকে। এই ব্যায়াম মস্তিষ্কে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে থাকে, যে কারণে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
তাই দিনের যে কোনও সময় সাইকেল চালানোই শরীরের পক্ষে খুব ভালো। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সকালবেলা সাইকেল চালাতে পারলে সেটি বেশি স্বাস্থ্যকর। সকালে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১৫ হতে ২০ শতাংশ কম থাকে, তাই ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে অবশ্যই সকালবেলা সাইকেল চালাতে পারেন।
কাদের পক্ষে সাইকেল চালানো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়?
সাইকেল চালানো ভালো হলেও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি মোটেও প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে যাদের হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সাইকেল না চালানোই ভালো। তাছাড়াও যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, চিকিৎসকরা তাদেরও সাইকেল চালাতে বারণ করেছেন। সাইকেল চালালে হাঁপানির সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে, তাই তাদের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।