দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানব শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা যায় যা আগেভাগে জানান দেয় যে, শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে। তখন প্রয়োজন পড়ে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন সেটি?
বর্তমান সময় ঘরে ঘরে বাড়ছে ডায়াবিবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে কী সচেতনতা সেই হারে এখনও বেড়েছে? শরীরে এমন কিছু লক্ষণ দেখা যায় যা আগেভাগেই জানান দেয় যে, শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে। বেশির ভাগ রোগীই তা জানেন না, সেই সমস্যাগুলোর সঙ্গে ডায়াবেটিসের গভীর সম্পর্কও রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকেও হতে পারে মুখের একাধিক সমস্যা। মাঝে-মধ্যেই মুখের মধ্যে ঘা হচ্ছে, আপনি সেটিকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না? মুখের মধ্যে ঘা কিংবা প্রদাহ যদি মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে, তা হলে সেটি অনেক সময় ডায়াবিবেটিসের লক্ষণও হতে পারে!
ডায়াবেটিসের অন্যান্য উপসর্গ কী?
# আপনার দাঁতে গর্ত হয়ে যাচ্ছে? তাহলেও সতর্ক থাকুন। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই, এমন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে।
# আপনার মাড়িতে জ্বালা-যন্ত্রণা করছে? বা মাড়ি কী লালচে হয়ে গিয়েছে? কেবল দাঁতের সমস্যাই নয়, শরীরে ডায়াবেটিস রোগ বাসা বাঁধলেও এই ধরনের সমস্যা কিন্তু দেখা দিতে পারে।
# ঘুম থেকে উঠেই গলা শুকিয়ে যায়? এটি টাইপ টু ডায়াবেটিসের লক্ষণ। ডায়াবেটিসের কারণে জিভে লালার পরিমাণ কমে যেতে পারে। সে কারণে বার বার গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও হয়। তখন বার বার পানি তেষ্টা পায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে তা থেকে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণও হতে পারে।
# যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তারা অনেক সময়ই সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক খান। তবে এর থেকেই দাঁত কিংবা জিভে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে। যে কারণে জিভ, মাড়ি, গাল এবং তালুতে লাল-সাদা দাগও দেখা যায় অনেক সময়। এর থেকে মুখের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে।
# আবার মুখের ভিতরের অংশে কিংবা জিভে মাঝে-মধ্যেই জ্বালা করতে পারে, এ রকম হলেও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। ডায়াবিবেটিসের কারণেও এমন হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এই ধরনের সমস্যা বাড়তে পারে। এই অবস্থায় মুখে কিছু দিলে তখন তেতো লাগে। সারাক্ষণ মুখের ভিতরটা জ্বালা-যন্ত্রণা করে। এমন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।