দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন আজকাল বহু মানুষ। তবে সমস্যা দেখা দিলেই ওষুধ না খেয়ে বরং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনুন।
অনেক সময় খাওয়া-দাওয়ার একটু এদিক-ওদিক হলেই বাঙালিরা ভোগে পেটের সমস্যায়। বাইরের তেল-মশলাজাতীয় ভারি কোনও কিছু খেলেই গ্যাস কিংবা পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পেটের সমস্যা সামলাতে শুধু ডাক্তার দেখালেই চলবে না। আনতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসেও কিছু পরিবর্তন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা দরকার যা পেটের সমস্যা থেকে চিরতরে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
গ্যাস হতে মুক্তি পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কী খাবার রাখবেন?
রাখুন ফল
শরীর সুস্থ রাখতে ফলের কোনো বিকল্প নেই। তবে ফল খেলে অনেকেরই গ্যাস হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে ফলগুলোতে ফ্রুকটোজের পরিমাণ কম সেই ফলগুলোও হজম করা অপেক্ষাকৃত সহজ। বেরিজাতীয় ফল, আঙুরে শর্করার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। এই ফলগুলো হজম করাও সহজ।
সবুজ শাক-সব্জি
সবুজ শাক-সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাছাড়াও থাকে ভিটামিন সি, কে ও এ। যে কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদানসমৃদ্ধ শাক-সব্জি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম থাকবে। মাঝে-মধ্যেই গ্যাস, পেট-ফাঁপার সমস্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান
হৃদযন্ত্রতে থাকে বেশ কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যা হজমেও সহায়তা করে। প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই ধরনের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও তখন বৃদ্ধি পায়। যে কারণে ভালো থাকে পেট। দই কিংবা এই ধরনের প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।