দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে নেত্রকোনায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
আজ (২৭ জুন) খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রব্বানী জব্বার; খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ.এম আরিফুল ইসলাম, মেজর জিসানুল হায়দার-এর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সময় অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিস এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার জেসন লি।
সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনায় প্রভাব পড়েছে। নেত্রকোনা জেলার প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেত্রকোনা জেলার ছয় উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। নেত্রকোনা সদর উপজেলা, বারহাট্টা, পূর্বধলা, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে বহু বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকা নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এ মতাবস্থায়, একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া এ সকল মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ – হেয়ার ফর ইউ’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে নেত্রকোনা উপজেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে চাল, মসুর ডাল, আলু, খাবার স্যালাইন, চিনি ও ময়দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিকাশে ইতিবাচক অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য হুয়াওয়ের এ উদ্যোগটি তার প্রমাণ।”
এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড সদস্য জেসন লি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বন্যার দুর্ভোগে পড়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব বোধ করেছি। তাই ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ – হেয়ার ফর ইউ’ আমাদের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা এই ত্রাণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমি জানি আমাদের প্রচেষ্টা তাদের অপিরিসীম কষ্টকে মুছে দিতে পারবে না কিন্তু তাদের সংগ্রামে যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে।”
খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, “নেত্রকোনার বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হুয়াওয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। বন্যার কারণে বহু মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে, এমন প্রতিকূল সময়ে হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের নানা উদ্যোগ পুনরায় আশার সঞ্চার করেছে। এই ত্রাণ সামগ্রীগুলি তাদের এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে এবং জীবনকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে।”
নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বার বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত আমরা দেখতে পাচ্ছি খালিয়াজুরীতে দুর্যোগের সময় হুয়াওয়ে আমাদের পাশে রয়েছে। আমি এজন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করব এরকম সময় উপযোগী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
হুয়াওয়ে ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। এবং এই প্রতিষ্ঠানটি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের জন্য, বিশেষ শিশুদের জন বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সহজতর করতেও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়। খালিয়াজুরীতে ত্রাণ বিতরণ এই ধরণের একটি কার্যক্রম। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।