দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাইক্রোসফট আজ্যুরের মাধ্যমে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের প্রযুক্তি সমূহ ব্যবহারের লক্ষ্যে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে এক স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট ও ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড।
গ্রাহকের সংবেদনশীল তথ্যের ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আর্থিক সেবাখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শঃই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করে থাকে। ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজও এই দায়ীত্বটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকে। তবে তারা এও মনে করে যে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সমূহ তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও উন্নত গ্রাহক সেবা এবং কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ আর্থিক সেবাখাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার আশা পোষন করে।
এ প্রসঙ্গে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রহমত পাশা বলেন, “ক্লাউড কম্পিউটিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো এবং সিস্টেমের আধুনিকীকরণে বেশ উপযোগী, আবার প্রতিযোগিতামূলক চাপ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামলাতেও অত্যন্ত সহায়ক।“ তিনি আরও বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য পূরনেই ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ মাইক্রোসফটকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং এই পার্টনারশিপ ব্রোকারেজ ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ক্লাউড- ফার্স্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণের নিঃসন্দেহে একটি বড় মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হবে।“
ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ স্টক ব্রোকার এবং বর্তমানে এটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সকল ব্রোকারদের তালিকার এক নম্বরে রয়েছে। কঠোর কমপ্লায়েন্স, উন্নত মানের গবেষণা, করপোরেট এক্সেস, আর সময়োচিত সেবা প্রদানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়া থেকে বাংলাদেশে বৃহৎ বৈদেশিক পোর্টফোলিও বিনিয়োগ সংগ্রহে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সামনের দিনগুলোতে পার্টনারশিপের সংখ্যা ও স্কেল বৃদ্ধির সম্ভাবনা উপলব্ধি করে, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ তার ডিজিটাল অবকাঠামোতে নিরাপত্তা, স্কেল ও উন্নয়ন সক্ষমতা নিশ্চিত করতে মাইক্রোসফট ক্লাউডের সুবিধা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের আইটি, ইনোভেশন ল্যাব ও ডিজিটাল সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান মোহঃ তানিম হাসান বলেন, “ক্লাউড ভিত্তিক সেবাই আর্থিক সেবা খাতের ভবিষ্যৎ এবং মাইক্রোসফটের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে এই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অংশ নিচ্ছি।“ তিনি আরও বলেন, “মাইক্রোসফট আজ্যুর ও মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর সুবিধা নিয়ে আমরা গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটালাইজেশনকে নিয়ত অগ্রাধিকার দিতে এবং আমাদের কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হব। ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে মাইক্রোসফটের ভিশন ও এই প্লাটফর্মটিতে তথ্য সুরক্ষার মান নিয়ে আমরা আশাবাদী।“
মাইক্রোসফটের পার্টনার টেক ওয়ান গ্লোবালের সাথে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ তার চাহিদা মাফিক একটি সল্যুশন রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে। মাইক্রোসফটের মুখ্য পার্টনার হিসাবে টেক ওয়ান গ্লোবাল ১৮ বছরেরও বেশী সময় ধরে মাইক্রোসফট প্রযুক্তি নির্ভর কনটেন্ট সার্ভিস ও আধুনিক ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশন সমুহ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
টেক ওয়ান গ্লোবাল বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার থামিলসেলভি জয়ারমন বলেন, “আমরা কৃতজ্ঞ যে মাইক্রোসফটের মুখ্য পার্টনার হিসাবে, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের মত প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা রিমোট অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখতে এবং বড় সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগীতা জোরদার করতে আমাদের দৃশ্যমান চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।”
ক্লাউডে আর্থিক সেবা পরিচালনার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম অত্যাবশ্যক। এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিত প্রযুক্তি উন্নয়নে সচেষ্ট থাকে তারাই আগামীতে ডিজিটাল খাতকে নেতৃত্ব দিবে ও তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। মাইক্রোসফট আজ্যুর এবং মাইক্রোসফট ৩৬৫ তথ্য নিরাপত্তারও একটি সুসংহত পদ্ধতি, যা ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজকে অন-প্রেমিসেসে, ক্লাউড এবং মোবাইল প্লাটফর্মে তাদের সকল আইডেন্টিটি, তথ্য, অ্যাপ্লিকেশন ও ডিভাইসগুলো সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুপ ফারুক বলেন, “আমরা ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজকে আমাদের ক্লাউড প্লাটফর্মে তাদের ট্রেডিং ও বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ রূপায়নে সাহায্য করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ ফিন-টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এবং আমাদের এ পার্টনারশিপ আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য নিরাপত্তার সাথে তাদের গ্রাহককে আরও উন্নত সেবা দিতে সহায়ক হবে।“
ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ বাংলাদেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই টিআরইসি হোল্ডার হিসাবে তালিকাভুক্ত – ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (টিআরইসি নং-১৮১) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (টিআরইসি নং-০১৫)। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যতমুখী নানা পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) এবং ইআরপি’র মাধ্যমে সম্পূর্ণ অপারেশনাল অটোমেশন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত। এ ছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি একটি ক্লাউড ভিত্তিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএমএস) বাস্তবায়ন করছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।