দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলার আসামি তাদের মেয়ে ঐশীকে গাজীপুর কিশোরী সংশোধনাগার কেন্দ্র থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল ২৯ আগস্ট সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার ছিদ্দিকুর রহমানের আবেদনক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত এই নির্দেশ দিয়েছেন।
৫ দিনের রিমান্ড শেষে ঐশী ও সুমিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাবা-মাকে হত্যার বিষয়ে এই আদালতে গত ২৪ আগস্ট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ঐশী ও তাদের বাসার গৃহকর্মী খাদিজা বেগম সুমি। বিচারকের খাস কামরায় দিনভন জবানবন্দি দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাদেরকে গাজীপুরে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই দিন রাতে তাদের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অন্যদিকে একই সঙ্গে রিমান্ডে নেওয়া ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে আবারো রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৪ আগস্ট দিবাগত রাতে পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে তাদের চামেলীবাগের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ আগস্ট দুপুরে পল্টন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমানের মেয়ে ঐশী। পরে গৃহকর্মী সুমিকেও থানায় দিয়ে যাওয়া হয়। ঐশীর দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে পুলিশ এরপর আটক করে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে। পুলিশ এখনও অপর দুই বন্ধুকে এখনও খুঁজছে।