দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘উইন-উইন·হুয়াওয়ে ইনোভেশন উইক’ শীর্ষক চলমান এক অনলাইন অনুষ্ঠানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনের নতুন একটি স্যুট উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ের ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফিলিপ সং।
আইসিটি অবকাঠামো ফাইভজি ও এফফাইভজি থেকে ৫.৫জি ও এফ৫.৫জি, গ্রিন নেটওয়ার্কের দিকে যাচ্ছে। নেটওয়ার্ক কার্বন ইনটেনসিটি (এনসিআইই) ইনডেক্সের বিপরীতে নেটওয়ার্ক পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের টার্গেট নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে এই ইনডেক্স। এমতাবস্থায়, এই সল্যুশনের লক্ষ্য নেটওয়ার্কের জ্বালানির কার্যকারিতা উন্নয়নে অপারেটরদের পদ্ধতিগতভাবে সহায়তা করা, যা অপারেটরের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে এবং একইসাথে ট্র্যাফিকের প্রবৃদ্ধির বিষয় শনাক্ত করতে ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।
সং -এর মতে, তিনটি পর্যায়ে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন প্রয়োজন। প্রথমত, সাইটগুলোকে আউটডোরে নিয়ে যাওয়া, ইক্যুইপমেন্ট এনার্জি এফিশিয়েন্সি ও পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের কার্যকারিতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, সর্বোচ্চ জ্বালানি কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এবং নেটওয়ার্ককে অল-অপটিক্যাল, সিমপ্লিফায়েড ও ইন্টেলিজেন্ট করা। এবং তৃতীয়ত, সহজে গ্রিন ওঅ্যান্ডএম ও নিউ ওঅ্যান্ডএম অর্জন করা এবং জ্বালানি-সাশ্রয়ী নীতিমালা তৈরি। সং এই তিন পর্যায়ে হুয়াওয়ের উদ্ভাবনী গ্রিন ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন; পাশাপাশি, এনসিআইই ইন্ডিকেটর সিস্টেম উন্মোচন করেন, যা গ্রিন সাইট, গ্রিন নেটওয়ার্ক ও গ্রিন অপারেশন, তিনটি পর্যায়কে সমর্থন করবে।
বক্তব্যের শেষে সং এভারগ্রিন ল্যান্ড এনগেজমেন্ট রুম চালুর ঘোষণা দেয়। এই রুমে হুয়াওয়ে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট এবং কীভাবে জ্বালানি-সাশ্রয়ী আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা যায় তা নিয়ে বৈশ্বিক অপারেটরদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবে। তিনি বলেন, “আইসিটি অবকাঠামোর জ্বালানি সাশ্রয়ী সক্ষমতা উন্নয়নে গ্রিন আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ভ্যালু তৈরিতে অপারেটরদের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হুয়াওয়ে।”
সাইট লেয়ারে এসব সল্যুশন তিনটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনে জোর দিবে। যার মধ্যে রয়েছে: সম্পূর্ণভাবে আউটডোর ডেপ্লয়মেন্ট; এই সল্যুশনের মাধ্যমে ব্লেড পাওয়ার মডিউল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, একটি সাইটের মধ্যেই যা টুজি, থ্রিজি, ফোরজি ও ফাইভজি সমর্থন করে। এবং এ সল্যুশনে ৯৭ শতাংশ সাইট এনার্জি এফিশিয়েন্সির (এসইই) সক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়াও, সিমপ্লিফায়েড এসব সল্যুশনে আল্ট্রা-ওয়াইড ব্যান্ড আরএফ মডিউল ও মাল্টি-ব্যান্ড অ্যান্টেনা একীভূত থাকে। পাশাপাশি, এটি পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, নেটওয়ার্ক লেয়ারে এ সল্যুশন তিনটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে; যথা – ১। অল-অপটিক্যাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ইলেক্ট্রিক্যাল সুইচিং থেকে অপটিক্যাল সুইচিং -এ আপগ্রেড করে ২। সল্যুশনের মাধ্যমে চার ইউনিটের ইক্যুইপমেন্টকে একটি ইউনিটে পরিণত করে; এবং ৩। রাউটারের ডায়নামিক হাইবারনেশনকে ইন্টেলিজেন্ট করে তোলে এবং ট্র্যাফিক ভলিউমের পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক প্রসেসরের ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় করে। অপারেশন পর্যায়ে, সল্যুশনটি ব্যবহারকারীর অপারেশন, এনার্জি সেভিং পলিসি ও এনার্জি এফিশিয়েন্সি ইন্ডিকেটরে আলোকপাত করে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।